দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ কেন্দ্রীয় নেতাদের দেই দিচ্ছি ধুম্রজালে আটকে আছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ভবিষ্যত। তবে অনেক নেতাই হিসেব কষতে শুরু করেছেন কে হচ্ছে মহানগর বিএনপির আগামীর অভিভাবক। স্থানীয় নেতাদের হিসাব যেটাই হউক কেন্দ্রীয় নেতাদের উপর বেশ আস্থা রেখে চলেছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি।
ইতিমধ্যেই নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি, জেলা ও মহানগর ছাত্রদল সর্বশেষ মহানগর কৃষক দলের কমিটি ধারাবাহিকতার সহিত ভেঙ্গে দিলেও, এখন নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে মহানগর বিএনপি। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসের যে কোন সময় ভেঙ্গে দেওয়া হবে মহানগর বিএনপি। সেই সাথে ধারাবাহিকতার সহিত কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি গুলোকে ভেঙ্গে দেয়ার সিদ্ধান্ত অনেকটাই চুড়ান্ত আর সেটা বাস্তবায়ন এখন সময়ের ব্যাপার।
এদিকে কেন্দ্রীয় সূত্র মতে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কমিটির হালহকিকতের বিষয় খোঁজ খবর নিতে মাঠে কাজ করছে তিন সদস্য বিশিষ্ট্য তদন্ত কমিটি। আর তাদের সেই তদন্তের সূত্রধরেই ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি, জেলা ও মহানগর ছাত্রদল সর্বশেষ মহানগর কৃষক দলের কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। বর্তমান তদন্ত কমিটি নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও সহযোগী এবং অঙ্গসংগঠন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তদন্তের ফাইনাল রির্পোটের পাশাপাশি কারা হবেন আগামী নারায়ণগঞ্জ বিএনপির অভিভাবক সেটা নিয়েও কাজ করছেন তারা।
সূত্র আরও জানায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রকে গঠনে কাজ করছে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার। আর আওয়ামীলীগ বিহীন ফাঁকা মাঠে সুযোগ বুঝে কিছু সুবিধাবাদী বিএনপি নেতারা সব সেক্টর দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। যা বিএনপির বিগত ১৬ বছর গণতন্ত্র উদ্ধার আন্দোলন সংগ্রাম করে আসা ফসলের উপর ছাঁই পড়তে শুরু করেছে। তাই তদন্ত কমিটি ঐ সকল সুবিধাবাদী দুষ্টনেতাদের লাগাম টানতেই কাজ শুরু করেছেন।
অন্যদিকে, স্থানীয় বিএনপির একটি বিরাট অংশ তাদের নিজ বলয়ের নেতাদের মহানগর বিএনপির গুরুত্বপূর্ন পদে আসছে বলে আশায় বুক বেঁধেছে। তবে স্থানীয় বিএনপির নেতাদের মধ্যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, এবারের কমিটিতে সিনিয়রদের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ন পদে আসিন হচ্ছে নতুন প্রজন্ম। বর্তমান কমিটিতে থাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, এই দুই নেতার মধ্যে একজনের কপাল পুড়তে পারে।
তবে সাংগঠনিক দিক দিয়ে তর্কবিতর্কের উর্ধ্বে গিয়ে নিজের অবস্থান পাকা করে রেখেছেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু। সেই দিক বিবেচনা করলে কপাল পুড়তে পারে আহবায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খানের তবে সেটা শুধুই ধারনা মাত্র।
অপরদিকে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রয়াত সাংসদ জালাল হাজী পরিবার পাচ্ছেন মহানগর বিএনপির একটি গুরুত্বপূর্ন পদ। কারন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে স্থানীয় অনেক নেতাদের ধারনা নারায়ণগঞ্জে জালাল হাজী পরিবার পরিছন্ন ইমেজের। আর ইতিমধ্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতালগ্ন থেকে এযাবৎ পর্যন্ত দলের হাই কমান্ড থেকে শুরু করে স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যায় পরিছন্নতার পরিচয় দিয়ে এসেছে এই পরিবারটি।
এদিকে, প্রয়াত জালাল হাজীর ছেলে সাবেক সাংসদ এ্যাড. আবুল কালামের ছেলে মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও নাসিক ২৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাউছার আশা রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজের অবস্থান পাকা পোক্ত করে রেখেছেন। এবার নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সুপার টু এর একটি পদে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সূত্র।
তবে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসের মধ্যেই সেটার বাস্তবায়ন হবে রাজনৈতিক মহলে। তবে ধারনা করা যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটিতে সভাপতি পদে আসার সম্ভবনা রয়েছে বর্তমান সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আবুল কাউছার আশা। তবে এটা স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের গুঞ্জন ও নেতাকর্মীদের ধারনা।