দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বন্দর উপজেলার কল্যান্দি এলাকায় আরসিসি রাস্তা সুরুঙ্গ করে ড্রেজার পাইপ লাইন সংযোগ নেওয়ার অভিযোগের ভিত্ততে উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছিলেন। তবে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুধু আশ্বাস দেয়া ছাড়া এখনো গ্রহণ করা হয়নি দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা। ফলে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এমন ভূমিকা নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
জানা গেছে, বন্দর উপজেলার রূপালী এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীরতীরে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে রাস্তা সুরঙ্গ করে বালু ভরাট কাজ করার অভিযোগ বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ, থানা যুবদলের সভাপতি আমির হোসেন, মেরাজ হত্যা মামলার আসামি পিংকি, সোয়েব, নাদিম সহ ডজনখানিক বিএনপির একটি সিন্ডিকেট।
সরেজিমনে দেখা যায়, বন্দরে কল্যান্দি সড়কে আরসিসি ঢালাই রাস্তায় অবৈধভাবে সড়কের নিচ দিয়ে সুড়ঙ্গ করে ড্রেজার পাইপ বসানো হয়েছে। শুরুতে পাইপ সড়কের ওপর ছিল। এতে প্রশাসন বাধা দিলে সড়ক থেকে পাইপ সরিয়ে দিনের বেলাই সুড়ঙ্গ করে পাইপটি সড়কের নিচ দিয়ে নেওয়া হয়। এতে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে সড়ক ভেঙ্গে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
স্থানীয়দের অভিযোগ প্রাশাসনকে ম্যনেজ না করে এ কাজ করা সম্ভব না। তা না হলে রাস্তা কেটে সুরঙ্গ করে ড্রেজার পাইপ লাইন সংযোগ দিয়েছে কিভাবে?। সংবাদ প্রকাশের পর স্থানীয় উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) অফিসের কর্মকর্তা এখানে এসে দেখে চলে যান। পরবর্তী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ফলে স্থানীয়দের মুখে মুখে এখন চলছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড়।
রাস্তা সুরুঙ্গ করে ড্রেজার পাইপ সংযোগের বিষয়ে বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ’র মুঠোফোনে একাধিকবার ফোনকল করলে তাঁর নাম্বারে কল ঢুকেনি।
বন্দর উপজেলার প্রকৌশলী (এলজিইডি) কর্মকর্তা সামছুন নাহারে মুঠোফোনে জানতে চেয়ে ফোনকল করলেও তিনি কল রিসিভ করেনি।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমি গত সপ্তাহে এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ারকে বলে দিয়েছি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওনি কেন ব্যবস্থা নেয়নি ফোন দিয়ে জানেন।