দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ ও জেলা বিএনপির সদস্য বীর মুক্তিয়োদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, রমজান মাস হচ্ছে মুসলমানদের জন্য একটি ফজিলত পূর্ণ মাস। মহান স্রষ্টা জ্বীন ও ইনসানকে সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র তার ইবাদত করার জন্য।
ইবাদত যদি সঠিক ভাবে করতে পারি তাহলে পরকালে মহান স্রষ্টা আমাদের জান্নাত দিবেন। এ দেশের সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সহাবস্থান রয়েছে সুদীর্ঘকালের। তবে শফিকুল ইসলামকে আমি ধন্যবাদ জানাই কারন সে হিন্দু ধর্মের ভাই বোনদেরও দাওয়াত করে একই ছাদের নিচে নিয়ে এসেছে।
একজন রাজনীতিবিদের মূল লক্ষ্য ও আদর্শ হবে মানুষের কল্যাণে কাজ করা, দেশের উন্নয়নে কাজ করা। যে রাজনীতিবিদ এ বিশ্বাসকে ধারন করেনা, এ আদর্শকে নিয়ে কাজ করেনা সে কখনোই একজন প্রকৃত রাজনীতিবিদ হতে পারেনা।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) বিকেল ৪ টায় নগরীর ১০নং ওয়ার্ডস্থ লক্ষীনারায়ণ কটন মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও মহানগর যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম শফিকের সভাপতিত্বে মাহে রমজান উপলক্ষে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিয়োদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আরও বলেন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, ২০২৪ সালে ফ্যাসিষ্ট সরকার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে বিজয় লাভ করেছি। দুটি বিজয় আমাদেরকে এ শিক্ষা দেয়, দেশের কল্যাণে, মানুষের কল্যানে কাজ করতে হবে। নতুন স্বপ্ন, নতুন চেতনাকে বাস্তবায়ন করতে ভালো মানুষের নেতৃত্ব প্রয়োজন। চোর-চোট্টা, খারাপ মানুষের হাতে নেতৃত্ব গেলে কখনোই সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয়।
আজ আমি অত্যন্ত খুশি আমার প্রিয় সহকর্মী যে কিনা মানুষের সেবায় ধর্মীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ইফতার সামগ্রী উপহার দিবে। এটাই হওয়া চাই একজন রাজনীতিবিদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যারা কাউকে কিছু বলতে পারেনা, অসহায়। আমাদের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে রমজান মাসে ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে দেয় আর আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বেশী মুনাফা করে।
এসময় সভাপতির বক্তব্যে শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, গত ১৬ বছরে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় যারা নির্মম অত্যাচারের শিকার হয়ে নিহত হয়েছে। পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে মহান রাব্বুল আলামিন তাদের সবাইকে জান্নাত নসিব করুন, এই প্রর্থনা করছি।
তিনি আরও বলেন, আমি ৫২ এর ভাষা আন্দোলন দেখিনি, ৭১ এর পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতা দেখিনি, সিপাহি জনতার বিপ্লব দেখিনি, ৯০ এর গণঅভ্যূত্থান দেখিনি, দেখেছি অবৈধ সরকারের স্বৈরাচারিচারী শাসন, গুম, খুন, মামলা হামলা সহ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ধর্ষনে সেঞ্চুরি, দেখেছি ২৪ আগষ্টের ছাত্র জনতার আন্দোলনে আওয়ামী দুঃশাসনের হত্যাযজ্ঞ কর্মকান্ড।
ইতিহাস সাক্ষী আওয়ামী লীগ কখনোই ক্ষমতায় এসে জনগণের পক্ষে কাজ করেনি। শুধু দেখেছি আওয়ামী দুঃশাসন। তাই এই মঞ্চে ও মঞ্চের বাহিরে যারা সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আছেন। আপনারা সবাই সজাগ দৃষ্টি রাখবেন আওয়ামী লীগের কোন দালাল যেন আমাদের দলে ভীড়তে না পারে। আর আমাদের দলের কোন নেতা যদি তাদের সমর্থন দেয় তাহলে আপনাদের নেতৃত্বে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবো ইনশাল্লাহ।
নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শেষে অসহায়, হতদরিদ্র ৪০০জন মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, জাসাস মহানগরের সভাপতি স্বপন চৌধুরী, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ডি এইচ বাবুল, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন প্রধান, ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোক্তার হোসেন ভূঁইয়া, গিয়াস উদ্দিন প্রধান, নজরুল ইসলাম দীপ্তি, খোরশেদ আলম মহানগর যুবদল নেতা হারুন, শাহীন, রমজান আলী, জিসান, রাজু, শাহীন আহম্মেদ, মিলন, মাসুদ, নাজমুল, ইমরান, সজিব, সজল, লিটন, তারেক, মনু, শাহাবুউদ্দিন, মোখলেছ, রিফাত, ডালিম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।