# বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেঃ সাখাওয়াত
# ফ্যাসিষ্ট আমলে ব্যবসায়ীদের সংগঠন গুলো ওসমান দোসররা দখল করে রেখে ছিলোঃ টিপু
# যে কোন প্যানেলের প্রার্থীকেই ভোট দিন, তবে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকেই বেছে নিনঃ মঈনুদ্দিন
দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র হোসিয়ারী মালিক ঐক্য ফোরাম প্যানেলের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১২ টায় নগরীর হৃদম প্লাজা কমিউনিটি সেন্টার এ পরিচিত সভার আয়োজন করা হয়।
সাধারণ গ্রুপের পরিচালক পদপ্রার্থী শাহ ফাতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপনের সভাপতিত্বে পরিচিত সভায় বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যুগ্ম-আহবায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা মাইনুদ্দীন আহম্মেদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার, ইসলামী আন্দোলন মহানগর সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, মহানগর মহানগর মহিলাদল নেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না সহ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করা অন্যান্য প্রার্থী বৃন্দ।
এসময়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, “বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জে। শুধু হোসিয়ারী সমিতি নয়, চেম্বার অব কমার্স, বিকেএমইএ, মসজিদ কমিটি থেকে শুরু করে সব জায়গায় গত ১৫ বছর এক দানবের প্রভাব দেখেছি। আমরা সেই প্রভাব থেকে বেরিয়ে এসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “নারায়ণগঞ্জ প্রাচ্যের ড্যান্ডি হিসেবে পরিচিত, আর এই পরিচিতি হোসিয়ারী শিল্পের মাধ্যমে এসেছে। কিন্তু এই শিল্পকে এক পরিবার কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সেলিম ওসমান, শামীম ওসমানের কথা ব্যাতিত কোনো হোসিয়ারীর কমিটি হতে পারতো না। তারা যাকে ইচ্ছে ভোটার বানাত, তারা যাকে মনোনয়ন দিতো তারাই পরিচালক বা অন্যান্য পদে নির্বাচিত হতো। আমাদের দাবি, এই শিল্পে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক, এবং আমরা নির্বাচনে ভোট দেয়ার সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনব।”
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, ফ্যাসিস আমলে ব্যবসায়ীদের সংগঠন গুলো ওসমান দোসররা দখল করে রেখে ছিলো। তারা আবারো সেই পায়তারা করেছিলো, কিন্তু আমরা সেটা হতে দিবো না। আগামী ৩ তারিখ ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নেতৃত্ব গঠন করবেন। কারো রক্তচোখুকে ভয় পাবেন না। আমরা আর কোন সিলেকশন চাই না ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চাই। আপনারা যদি সজাগ থাকেন তাহলে এখন থেকে কোন ব্যবসায়ী সংগঠনকে ফ্যাসিবাদীদের হাতে জিম্মি হতে দিবো না।
মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমেদ বলেন, “যে কোন প্যানেলের প্রার্থীকেই ভোট দিন, তবে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকেই বেছে নিন। যদি কোন চাঁদাবাজি হয়, তাহলে তাকে ধরে আমাদের জানাবেন। চাঁদাবাজি করতে আসলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
সাধারণ গ্রুপের পরিচালক পদপ্রার্থী ফাতেহ মোহাম্মদ রেজার সভাপতিত্বে এসোসিয়েট গ্রুপের পরিচালক পদপ্রার্থী মাসুদ রানার সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন, প্রার্থী আওলাদ হোসেন, বাবুল চন্দ্র দাস, লুৎফর রহমান ফকির, সুশান্ত পাল চৌধুরী, আবুল বাসার, নাজমুল হক, দিদার খন্দকার, নারায়ণ চন্দ্র মজুমদার, মোক্তার হোসেন, মনসুম মোল্লা, ফারুক হোসেন, ইবনে মো. আল কাউসার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।