দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন উইলসন রোডের বাসিন্দা উজ্জ্বল মিয়ার সম্পত্তি জোর পূর্বক হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জে কর্মরত সজিব রানার বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে বাদী হয়ে পুলিশ সুপারের নিকট একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন উজ্জ্বল মিয়া।
উজ্জ্বল মিয়া জানান, বিগত ২০২১ সাল হতে বন্দর থানাধীন কুশিয়ারা মৌজাস্থিত দুই শতাংশ জমি ভোগ দখল করে আসছি। নগদ টাকার প্রয়োজন হওয়ায় বিক্রয় করার মত প্রকাশ করলে গত ২০২৪ সালের ২ ডিসেম্বর মিসেস শিউলী জমিটি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে জমির মূল্য ২৭ লক্ষ টাকা নির্ধারন করে ১৫ দিন মেয়াদে বায়না পত্র নামা দলিল করা হয়। যেখানে নগদ ১২ লক্ষ টাকা প্রদান ও ১৫ লক্ষ টাকা বাকী রাখা হয়।
জমির জেল নং- সি.এস-২২৭, এস.এ-৪৭, আর.এস-৪১, মৌজা কুশিয়ারা, খতিয়ান নম্বর- সি.এস-২৫২, এস.এ-১৯৭, আর.এস-২৮৮, নামজারী- ৭১২২নং খতিয়ান ভুক্ত, জোত-৭১২১, দাগ নাম্বার – সি.এস ও এস.এ-১১১০, আর.এস- ১৬৩২।
পরবর্তীতে মিসেস শিউলী বাকী টাকা পরিশোধ না করায় তাকে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়। এর প্রেক্ষিতে আমিন আবাসিক এলাকার রাহিম ও তালিবের মাধ্যমে বিগত দুই মাস যাবৎ তাদের নামে অথবা তাদের মনোনীত ব্যক্তির নামে সাফ কবলা দলিল করে লিখে দিতে বলে। নয়তো প্রাণে মেরে ফেলে লাশ গুম করার ও পরিবারের ক্ষয়ক্ষতি করার হুমকী প্রদান করছে।
তাই সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে আইনী পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানান উজ্জ্বল মিয়া।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পিবিআই মুন্সি সজিব রানার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, উজ্জল মিয়ার সাথে আমাদের একটি বায়নাপত্র নামা দলিল হয়ে ছিলো যেখানে জমির দাম ধরা হয়েছে ২৭ লক্ষ টাকা। নগদ দেয়া হয়েছিলো ১২ লক্ষ টাকা এবং ১৫ দিনের মধ্যে বাকি টাকা দেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তার কাছ থেকে পুর্বের ১১ লক্ষ টাকা পাওনা ছিলাম। যেটা সে ব্যবসার জন্য আমার কাছ থেকে ধার নিয়ে ছিলো। সেই টাকার জন্য তাকে ফোন দিলে সে আমার ফোন রিসিব করে না।
এদিকে জমির মালিক উজ্জ্বল মিয়া বলেন, তার কাছ থেকে ১ লক্ষ ২ লক্ষ টাকা করে নিয়ে ছিলাম ৬ লক্ষ টাকা আর আরেক জনকে সুদে ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছে যেটার জামিনদার ছিলাম আমি।এ বিষয়ে তার সাথে আমার ৪ টা ষ্ট্যাম্প হয়েছে। কিন্তু মুল টাকা ও সুদ বাবদ সে আমার কাছ থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছে। আমি তার কাছ থেকে ষ্ট্যাম্প চাইলে প্রশাসনিক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে হুমকী ধুমকী এবং গুম করার ভয় ভীতি দেখায়।
আর আমার সাথে জমির বায়না হয়েছে তার মায়ের আর সেই সুযোগে ঐ ষ্ট্যাম্পের ভয় দেখিয়ে আমাকে বাকি টাকা দিচ্ছে না। তাছাড়া তৎকালিন সময় আওয়া্মীলীগ ক্ষমতায় থাকাকালিন প্রশাসনের ক্ষমতার বিষয় সবারই জানা। আমার কাছে সব কিছুর প্রমান আছে।