দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও চলছে আওয়ামী দোসরদের গ্রেফতারের জন্য অপারেশন ডেভিল হান্ট কার্যক্রম। নারায়নগঞ্জের অন্যান্য থানাগুলো আওয়ামী ডেভিলদের গ্রেফতারে তৎপর থাকলেও অনেকটাই নিরবতা পালন করছেন সদর মডেল থানা পুলিশ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার উপর হামলার দায়ে আওয়ামীলীগের চিহিৃত দোসররা মামলায় আসামী হলেও অনেকটা প্রকাশ্যেই রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামীলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৪নং ওয়ার্ডের অনেক বাসিন্দা জানান, ৫ আগষ্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পুর্বে স্থানীয়দের কাছে আতংকের নাম ছিলো সিটি মেয়র ডা.সেলিনা হায়াত আইভীর হাতিয়ার এ কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির। বিএনপির রাজনীতি করার অপরাধে তার ওয়ার্ডের প্রতিটি বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে আওয়ামী ডেভিল ও পুলিশ বাহিনী পাঠিয়ে নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করানো এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করাতেন তিনি। মনিরের সহকারী ইমরান জিসানও ছিলেন অন্যতম দোসর।
৫ আগষ্টের পর ছাত্র-জনতার উপর হামলার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় কয়েকটি মামলার আসামীও হয়েছেন আইভীর দোসন ডেভিল কাউন্সিলর মনির।
স্থানীয়রা জানান,যেখানে অপরাশেন ডেভিল হান্টের কার্যক্রম চলমান রয়েছে সেখানে আইভীর অন্যতম ডেভিল কাউন্সিলর মনির শহরের ২নং রেলগেইট এলাকায় অবস্থিত তার মনির রেস্তোরায় প্রকাশ্যেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। অথচ ডেভিল হান্টের অভিযান যেন তাকে গ্রেফতারের পরিবর্তে স্বাধীনভাবে চলাচলের জন্য পুরোটাই উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।
এনসিসি ১৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের দাবী,আওয়ামী ডেভিল কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনিরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওয়তায় নেয়া হোক।