দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ গত ১লা নভেম্বর ২০২৪ সালে রাত ৯টায় মুন্সিগঞ্জ থানাধীন আধারা ইউনিয়নের জাজিরা-বকচর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে স্পীড বোট ও মাছ ধরার ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত আবু ইলিয়াস শান্তকে কেন্দ্র করে সাজানো হত্যা মামলায় কিবরিয়া মিজি ও শাহাদাত সহ সকলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার (১০ মার্চ) বেলা ১২ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করে চর কিশোরগঞ্জ এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত বছরের ১লা নভেম্বর দিবাগত রাত ৯টায় ঢাকা সদরঘাট থেকে স্পীড বোট যোগে ড্রাইভার টিপু (৪৫), শামীম হোসেন (৪৫), স্পীড বোড মালিক শান্ত (৩৫), শাহাদাৎ হোসেন (৩৮), মিন্টু (৩৫), কিবরিয়া (৫০), জাফর (২২), আকেশ আলী (৪৮) ব্যবসায়িক কাজে মুন্সিগঞ্জ সদর থানাধীন কালিচর যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে জাজিরা বকচর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে পৌছালে বেপরোয়া গতিতে আসা মাছ ধরার ট্রলারের সাথে মুখমোখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে স্পীড বোট মালিক শান্ত নিহত হয়।
আর অন্যান্য যারা ছিলো তারা সবাই মারাত্মক আহত হয়ে বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশংকাজনক ছিলো।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সেই সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পাশাপাশি মাছের ট্রলারটি জব্দ করেছে এবং ট্রলারে থাকা সকলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই সাথে স্পিড বোটের ড্রাইভারের জবানবন্দি নিয়েছে। শুধু তাই নয় স্পিড বোটের মালিক নিহত শান্ত সেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ। পুলিশের সুরত হাল রিপোর্ট দুর্ঘটনা, ময়না তদন্ত রিপোর্ট দুর্ঘটনা এবং পুলিশের তদন্তে অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
এছাড়াও মাছ ধরার ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্পিড বোটের একটি পাশ ভেঙ্গে যাওয়া অংশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এই দুর্ঘটনার বিষয়ে সত্যতা পাওয়ার পরেও নিহত শান্তর পরিবার ঘটনাস্থলে আহতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে নিরীহদের হয়রানী করছে।
তারা আরো বলেন, নদী বা সড়ক পথে অনেক সময় অনেক ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে। তবে এটা একটা অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা, যা কারো কাম্য নয়। যারা দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে তাদেরকে হত্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সেই সাথে প্রশাসনের কাছে আহবান করবো আপনারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করুন। আর যাদের কারনে আজ শান্ত নিহত হয়েছে, সেই ঘাতক ট্রলারের বেপরোয়া গতির কারনে এই ঘটনা ঘটেছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
আপনারা তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করুন। ঘটনাস্থলে আহত হওয়ার পরেও কিবরিয়া মিজি ও শাহাদাত সহ যারা মিথ্যা মামলায় আসামি হয়েছে তাদের মামলা থেকে অব্যহতি প্রদান করুন।