দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের পতন হলেও এখনো তাদের দোসররা সক্রিয়। দল ক্ষমতাচুত্য হলেও হয়নি নারায়ণগঞ্জে তাদের অপকর্মের পরিসমাপ্তি।
অনেকেই নব্য বিএনপির বেস ধরে আবার কেউ বিএনপি নেতাদের আত্নীয়তার সর্ম্পকের বলে, কেউ বা আবার নিজ পেশী শক্তির বলে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন, চাঁদাবাজী, লুট ডাকাতি সহ নানা অপকর্ম করে আসছে।। চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল ফতুল্লা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন বক্তাবলী চরপ্রসন্ন নগর এলাকার এক ভুক্তভোগী ।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘদিন ধরে শত্রুতা চলে আসছিল অভিযুক্ত রতন মিয়া ও তাইজুল ইসলামের সঙ্গে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই আসামিরা তাকে সহ তার পরিবারের লোকজনের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করার চেষ্টা করে আসছে।
তারই পেক্ষিতে গত ২৩ এপ্রিল সকালে তার পরিবারের লোকজনের ব্যবহৃত সর্বমোট ১৬ ভরি, ৬ আনা, ২ রতি স্বর্ণালঙ্কার বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ও তার সহকর্মী হাফিজুল্লাহ (৫০), আইনউদ্দিন (৫৫), হাবিব (৪৫) ও ড্রাইভার জাকির হোসেনকে (৪০) সঙ্গে নিয়ে তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকারযোগে ঢাকায় স্বর্ণালঙ্কার বিক্রয় করে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, ওইদিন রাতেই ঢাকা থেকে প্রাইভেটকারযোগে বাড়িতে আসার পথে ফতুল্লার বক্তাবলী চরপ্রসন্ন নগর এলাকায় অভিযুক্তরা ধারালো রামদা, চাপাতি, ছোরা, লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল, হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের উপর অতর্কিত আক্রমণ করে। তখন আসামিদের হাতে থাকা লোহার রড ও হকিস্টিক দিয়ে তার গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করে আনুমানিক ৪৫ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। আসামিরা এলোপাথারি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।
আসামিরা তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে এবং তার সঙ্গে থাকা নগদ ২২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। আসামিরা চলে যাওয়ার সময় তাদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও জীবননাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
ভুক্তভোগী প্রশাসনের দারস্থ হওয়ায় মোবাইলে গালিগালাজ সহ পুনরায় প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন রতন মিয়া। মোবাইল ফোনে আরো বলেন, ‘এবার খেলা দেখামু নি। কুত্তাডার মতোন তোরে গুলি করে দিমু। তোর লগে যেসব চামচা থাকে ওদেরকে পেট্টোল দিয়ে পুড়ায় মেরে ফেলমু। আমার নাম রতন, যা কিছু আছে সবকিছু জ্বালায় পুড়ায় দিমু দেখবি।
এদিকে, স্থানীরা জানান, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সময় তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন। তার ছবি সম্বলিত একাধিক ব্যানারে দেখা গিয়েছে, তিনি বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা। একই সঙ্গে ফেস্টুনে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শামীম ওসমান, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী ও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলীর ছবি রয়েছে।
গত ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরও তিনি নিজ এলাকায় দাপটের সঙ্গে সব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। এখনো পর্যন্ত তাকে কেনো গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না এ নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে জনমনে। ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলমান রয়েছে। দোষীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।