দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর নারায়ণগঞ্জে প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের সকল সদস্যরা পালিয়ে গেলেও রেখে গেছেন তাদের সমর্থিত দোসরদের। ৫ই আগষ্টের পর কিছু সুবিধাবাদী বিএনপি নেতাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে গুটি গুটি পায়ে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করে নিচ্ছেন সেই ওসমান দোসররা। সম্প্রতি কিছু ব্যবসায়িক সংগঠনে তাদের বিচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে চোখে পড়ার মত। সর্বশেষ বাংলাদেশ ইয়ার্ণ মার্চেন্টস্ এসোসিয়েশন এর কার্যকরী পরিষদ নির্বাচন (২০২৫-২০২৭) এ এসোসিয়েট গ্রুপে ব্যালট নং-৪ এ দেখা মিললো ওসমানগংদের আস্থাভাজন ফয়সাল আহম্মেদ দোলনকে।
সূত্র জানায়, ফয়সাল আহম্মেদ দোলনের ওসমান বলয়ে পা রাখার হাতেখড়ি শুরু হয় শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহম্মেদ টিটুর হাত ধরে। শুধু তাই নয় শ্যালক টিটুর আর্শিবাদ ও সহযোগীতায় ফয়সাল আহম্মেদ দোলন নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের মেম্বারশীপ পেয়ে যান। শুরু হয় তার ওসমানগংদের সাথে আতাঁতের খুনসুটি।
একে একে শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান থেকে শুরু করে ফয়সাল আহম্মেদ দোলন হয়ে যায় ওসমান বলয়ের একজন আস্থাভাজন ব্যক্তি। স্বৈরাচারী দোসরদের হাতে দেশ ও দেশের জনগণের গণতন্ত্রের বারোটা বাজলেও ওসমানগংদের সমর্থন দিয়ে নিজের আখের গুছাতে ফয়সাল আহম্মেদ দোলনের একটুও বুক কাপেনি।
ছিচকে কিছু বিএনপি নেতাদের সমর্থনে আজ ফয়সাল আহম্মেদ দোলনের মত ওসমানগংদের আস্থাভাজন কিছু কুচক্রী মহল ব্যবসায়িক সংগঠন গুলোকে নিজেদের মুঠোবন্দি করে নিচ্ছেন দিব্বি আরামে। ওসমানগংদের আস্থাভাজন দোসরদের হাতে কতটা নিরাপদ ব্যবসায়ি সংগঠনগুলো।
এদিকে বিএনপির তূণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ি সংগঠনগুলোকে লুফে নিচ্ছে আওয়ামীলীগের দোসর ও ওসমানগংদের আস্থাভাজন কতিপয় কিছু লোকজন। যাদের হাতে অতীতেও এই ব্যবসায়িক সংগঠন গুলো নিরাপদ ছিলো না, আর বর্তমানেতো নেই বললেই চলে। কারন ওসমানরা আস্থাভাজনদের রেখে গেছেন তাদের দিয়ে বিদেশের মাটিতে বসে নারায়ণগঞ্জকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য। কিছু সুবিধাবাদী বিএনপি নেতাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে গুটি গুটি পায়ে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করে নিচ্ছেন সেই ওসমান দোসররা। আর এটার প্রধান কারণ স্বল্প মূল্যে কিছু বিএনপি নেতা ওসমানগংদের কাছে নিজেদের বিলিয়ে দিচ্ছেন। ফলে বিদেশের মাটিতে বসে ওসমানরা যে নির্দেশনা প্রদান করছে, সেই মোতাবেক তাদের আস্থাভাজনদের বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনে প্রতিষ্ঠিত করছেন কথিত বিএনপি নেতারা বলে আমরা ধারণা করছি।
তা না হলে ৫ই আগষ্টের পর ধারাবাহিকতার সহিত ঐসকল ওসমানগংদের আস্থাভাজন কুচক্রী মহল কিভাবে ব্যবসায়িক সংগঠন গুলোকে নিজেদের মুঠোবন্দি করে নিচ্ছেন দিব্বি আরামে। অবশ্যই এই বিষয়গুলো তদন্তের মাধ্যমে প্রশাসন ও বিএনপির হাইকমান্ডকে নজরে আনতে হবে।