দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার জালকুড়ি সীমা ডাইং সংলগ্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দখল করে দোকানঘর নির্মানের প্রতিবাদ করায় চিহৃিত ভূমিদস্যু ও আওয়ামী লীগের ডেবিল মোঃ মফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী আবদুল মতিন নামের এক ব্যক্তি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আব্দুল মতিন সিদ্ধিরগঞ্জের এনায়েতনগরের গোদনাইল এলাকার বাসিন্দা এবং মৃত মোহাম্মদ আলী ও মনোয়ারা বেগমের পুত্র ।
থানায় অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, জালকুড়ি মৌজার আর.এস ৪৭৬৭ দাগে আমার ৫ শতাংশ জমি রয়েছে। যা আমার ভগ্নিপতি জয়নাল আবেদিন ২০১৪ সালে অনিক কুমার বসুর কাছ থেকে ক্রয় করেন। সেই জমিতে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছিলাম।
কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ভুমিদস্যু মৃত হেলালউদ্দিন,মাতা রোজিয়া্ বেগমের পুত্র মোঃ মফিজুল ইসলাম (৫৮) সহ আরও ১০-১২ জন ব্যক্তি আমার জমি জবরদখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে।
তিনি জানান, ২০২৫ সালের ২৫ এপ্রিল জমির উপর স্থাপনা নির্মাণের সময় বিবাদীরা বাধা প্রদান করে। মতিন দলিলপত্র দেখিয়েও নিজ জমিতে দোকানঘর নির্মাণ করতে পারেননি। বরং, বিবাদীরা দলিলপত্র ছিঁড়ে ফেলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জমি ছাড়তে বাধ্য করে।
পরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা (মামলা নং- ২৩২/২০১৯) দায়ের করেন। আদালত মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত জমিতে কোনো রকম স্থাপনা নির্মাণ না করার ঘোষণা প্রদান করেন।
তিনি আরও জানান, কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে গত শুক্রবার ২৫ এপ্রিল বিকালে বিবাদী মোঃ মফিজুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা আমার জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে। তারা প্রায় তিন হাজার ইট এবং সাইনবোর্ড ভেঙে ট্রাকে তুলে নিয়ে যায় এবং জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করে।
বাধা দিতে গেলে আমাকে অস্ত্রের ভয় দেখানো সহ আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে এলাকা ছাড়তে বলে। তারা আরো বলে যে, ‘তুই যদি এই জমি নিয়ে বাড়াবাড়ি করিস তাহলে তোকে জীবনের তরে শেষ করিয়া ফেলিবো।
আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ মফিজুল ইসলাম মুন্সিগঞ্জ -২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমানে পলাতক সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলির প্রভাব খাটিয়ে সামনের ৫ শতাংশ জমি দখল করে নেয়।সেখানে বর্তমানে বিশাল আকৃতির একটি গেইট,দোকানঘর ৪/৫ টি নির্মান করে।এমপি এমিলির প্রভাবে বিভিন্ন লোকের জমি দখল করে নেয়।বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া কয়েকটি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ রয়েছে ।
থানায় বসে শালিশ হলেও মফিজুল ইসলাম কাউকে তোয়াক্কা করছেনা।সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ওয়াসিম,দায়িত্ব প্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই রাশেদুল ইসলাম আদালতের মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন ধরনের স্থাপনা নির্মান না করতে বললেও ভূমিদস্যু মফিজুল ইসলাম তাতে কর্নপাত না করেই নির্মাণ কাজ চালিয়ে আসছে।
অভিযোগকারী ভুক্তভোগী আবদুল মতিনের দাবি, ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এসকল ভুমিদস্যু সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তা ও র্যাবের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ওয়াসিম মুঠোফোনে বলেন,থানায় বসেছিলাম। তারা না মানায় উভয় পক্ষকে কোর্টে যেতে বলেছি।