দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজনীতিতে বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানোর কথা থাকলেও অনেক নেতাদের মধ্যে প্রকাশ পাচ্ছে ফ্যাসিষ্টদের আচরণ। ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষমতার অবসান হলেও কতিপয় বিএনপি নেতাদের চাঁদাবাজী, দখলবাজী, লুটপাট ও টেন্ডারবাজী আচরণে খোদ বিব্রত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বারং বার নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরেও লাগামহীন দলীয় নেতাকর্মীদের অপকর্মের ফলে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দলটির সমর্থন। তাই দলে থাকা ফ্যাসিষ্ট নেতাদের বিরুদ্ধে তারেক রহমানের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির দল দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। আর এই তদন্তে কেন্দ্রীয় কোন নেতার হস্তক্ষেপ চলবে না বলে নির্দেশনা রয়েছে হাই কমান্ডের। এরই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে।
সূত্র জানায়, তারেক রহমানের নির্দেশিত এই কমিটির তদন্তের তালিকায় থাকছে আওয়ামীলীগ সরকারের ক্ষমতার শুরু থেকে পতনের মুর্হুত পর্যন্ত বিএনপির কোন নেতাদের সাথে রয়েছে ফ্যাসিবাদ আতাঁত, কাদের আতাঁতের ফলে দলের আন্দোলন সংগ্রামের ফসল ঘরে তুলতে ব্যার্থ হয়েছে বিএনপি, চলমান ১৭ বছরে কোন কোন নেতা স্বৈরাচারী সরকারের অত্যাচার, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে কারাভোগ সহ দিনের পর দিন পরিবার-পরিজন ছাড়া পলাতক জীবনে অভ্যস্থ ছিলেন, স্থাণীয় নির্বাচনে দলীয় সমর্থন নিয়ে ক্ষমতাসীনদের সাথে আতাঁত করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এবং ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর চাঁদাবাজী, দখলবাজী, লুটপাট ও টেন্ডারবাজীর মত নানা অপকর্মে জড়িয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং দলের ভাবমূর্তি পূণরায় ফিরিয়ে আনার জন্য তারেক রহমান এ তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
নারায়ণগঞ্জে ৫ আগষ্টের পর জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতাকেই দল থেকে বহিষ্কার করে ফ্যাসিষ্ট আচরণে অভ্যস্ত নেতাদের সঠিক পথে আনতে ব্যর্থ হয়েছে দলটির হাই কমান্ড। যার ফলশ্রুতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের ক্লিন ইমেজের নেতাদের সামনের সারিতে রেখে সাংগঠনিকভাবে দলকে গোছোতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সূত্র আরো জানায়, দলীয় নেতাকর্মীদের ৫ আগষ্টের পর আগ্রাসী মনোভাবের কারনে বিএনপি ইতিমধ্যেই জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হতে শুরু করেছে। তাই দলের হাই কমান্ড থেকে সরকারী প্রতিটি দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আহ্বান করা হয়েছে, বিএনপি বা অঙ্গসংগঠনের কোন নেতা যদি দলীয় সাইনবোর্ড ব্যবহার করে চাঁদাবাজী, দখলবাজী, লুটপাট ও টেন্ডারবাজীর মত কোন অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার প্রমান থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই বিএনপির হাই কমান্ডকে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে বিগত দিনে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলের সমর্থন নিয়ে ২ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা নিয়ে দলের সাথে বেঈমানীর অভিযোগে অভিযুক্ত এড. সাখাওয়াত, ইউনিয়ন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্্রার্থীকে অর্থের বিনিময়ে গোপনে সমর্থন, অর্থের বিনিময়ে জেলা ও মহানগর আওতাধীন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কমিটি অযোগ্যদের হাতে প্রদান সহ নানা অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে। যার ফলাফল অচিরেই নারায়ণগঞ্জ বিএনপির ক্লিন ইমেজের নেতারা দেখতে পাবেন বলে সূত্র জানায়।