দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা ও বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিষ্টের আমলে নিহত নেতাকর্মীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩ মে) আল জয়নাল ফেব্রিক্স মার্কেটে সদর থানা যুবদল নেতা শিকদার বাপ্পী চিশতির উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলী নওশেদ তুষারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শহর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাজহারুল ইসলাম জোসেফ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আজকে এ অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাদের দলনেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া যেন সুস্থ্য হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারে। বিগত ১৫ বছর যেখানে সমস্যা হয়ে সবস্থানে নেতাকর্মীদের গুম করেছে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ। সারা দেশে হাজারের বেশী নেতাকর্মী গুম হয়েছেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান হঠাৎ করে যে বিস্ফোরন হয়েছে এটা কোন কাকতালীয় বিষয় না। বিগত ১৫/১৬ বছরে আমাদের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের তিলে তিলে, ঘাম ঝড়ানো আত্মত্যাগের বিনিময়ে গণমানুষের মধ্যে যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিলো সেটা একটা দিয়াশলাইয়ের কাঠির মত কাজ করেছে। সেদিন ছাত্রদের নেতৃত্বে আমরা সবাই বাংলাদেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করেছি।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন, আমরা এখন সেই পর্যায়ে আছি। এটা আমাদের আনন্দের সময় না, সামনে আরো অনেক কিছু বাকী রয়েছে। আমরা যদি এখন থেকেই সর্তক না হই, সচেতন না হই তাহলে আমাদের কষ্টার্জিত পরিস্থিতি আমাদের প্রতিকূলে যেতে পারে। সেই সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। তাই বিএনপি হচ্ছে ১৭ কোটি মানুষের আস্থার স্থল, সকল কিছুর বিনিময়ে হলেও আমাদেরকে এ স্থান ধরে রাখতে হবে।
বক্তব্য শেষে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও নিহত সকল নেতাকর্মীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা শাকিল আহমেদ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনোয়ার হোসেন শোখন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল প্রধান, বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি আমীর হোসেন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান মৃধা,
জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভূইয়া, মাহমুদুর রহমান মাসুম,মহানগর যুবদল নেতা সবুজ, সাইদ, মনা, ফয়সাল হোসেন, রবিন খান, সাদ্দাম হোসেন, শাকিল হোসেন, মামুন, আলমগীর মিয়া, আকরাম আহম্মেদ সরকার, পায়েল, পাবেল সিকদার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।