দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইশতিয়াক শিকদারের বিরুদ্ধে স্থানীয় মিডিয়াতে মিথ্যা ও বিভ্রান্তি মূলক অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বুধবার (৪ জুন) বন্দরস্থ তার নিজ দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে রাহিদ ইশতিয়াক শিকদার দাবি করে বলেন, কিছু কুচক্রী মহল আমার রাজনৈতিক দক্ষতায় ইর্ষান্বিত হয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে মিথ্যা ও বিভ্রান্তি মূলক তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অথচ এই ধরনের কোন ঘটনার সাথে আমি জড়িত ছিলাম না। গণমাধ্যমকর্মীরা হচ্ছে সমাজের দর্পন তাদেরকে আমি সম্মান করি। আজকে আমি রাহিদ ইশতিয়াক শিকদার রাজনীতিত্বে যে পরিচিতি ও সম্মান অজর্ন করেছি সেটা সেটা গণমাধ্যমকর্মীদের একান্ত সহযোগীতায়।
অথচ আমার উপর অভিযোগ উঠেছে আমি নাকি সাংবাদিকদের উপর হামলা চালিয়েছি। অথচ এই ঘটনার দিন আমি সেখানে ছিলাম না এবং এ বিষয় কিছু জানতাম না। সেই ঘটনায় আমাকে জড়িয়ে না অপপ্রচার করা হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখ জনক। কিছু অপেশাদার নামধারী সাংবাদিকদের কারনে গণমাধ্যম সমাজ আজ দুষিত।
কয়েক দিন আগে যে বিয়ে বাড়িতে ভিডিওর কাজ করতো সে এখন আমাদের সামনে এসে সাংবাদিক পরিচয় দেয়। আবার আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে, যেখানে ইয়াবা ব্যবসা করার অপরাধে জেলখাটা আসামি, হোটেলে নারী কেলেঙ্কারীর অপরাধে জেলখাটা ব্যক্তিও নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মানববন্ধন করেছে। এটা খুবই লজ্জাজনক বিষয়।
আমি সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ করবো আপনারা এই ধরনের অপসাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিন। নতুবা পুরো সাংবাদিক সমাজ তাদের সম্মান এই সকল অপসাংবাদিকদের কারনে লজ্জাজনক অবস্থার মধ্যে উপনিত হচ্ছে।
সেই সাথে আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করুন। সেই সাথে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রন্তি মূলক তথ্য প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমি ২০০৮ সাল থেকে বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত আছি। বিগত দিনে স্বৈরাচারী সরকারের পতন আন্দোলনে রাজপথে থাকার অপরাধে মিথ্যা মামলা ও হামলার শিকার হয়ে বাড়ি ছাড়া ছিলাম। রাজপথে আমার সক্রিয় অংশগ্রহন ও সাংগঠনিক দক্ষতা দেখে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা আমাকে মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব দিয়ে ছিলেন।
আমি নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর চাঁদাবাজী, দখলবাজী, টেন্ডারবাজী থেকে শুরু করে কোন অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ নেই এবং আমি কোন অপরাধের সাথে জড়িত হইনি। যা আমার সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা অবগত আছেন।