দ্যা বাংলা এক্সমপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহি শহর চাষাড়ায় অবস্থিত সান্তনা মার্কেট নামে ডাকে বেশ পরিচিত থাকলেও এর ভিতরের গল্পটা একটু ভিন্ন। ১৯৯৬ সালে একটি জড়াজীর্ণ ২য় তলা ভবনটিকে জোড়া তালি দিয়ে ৪র্থ তলা ভবনে উর্ত্তীন করলেও এর অবকাঠামো কতটা মজবুত তা এই শহরের পুরনো বাসিন্দাদের সকলেরই জানা।
১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ প্রথম সরকার গঠন করার পরই মাকের্টের রুপ একে বারেই পরিবর্তন হয়ে গেছে। অথচ শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত এক সময় গুটি কয়েকটি দোকান ছাড়া ছিলো পুরো ভবনটি ভূতরে অবস্থা। একসময় পলাতক সাংসদ শামীম ওসমানের চার খলিফার নানা অপকর্মের ঘাটি হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলো এই মার্কেটটি কিন্তু দিন বদলের সাথে সাথে জড়াজীর্ণ ২য় তলা ভবনটি বেশ সাজানো গুছানো ৪র্থ তলা ভবনে রুপান্তরিত হয়েছে। বর্তমান মার্কেটের মধ্যে প্রায় ৭০টির ও বেশি দোকান নিয়ে বানিজ্যিক কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে।
ক্রেতা ও বিক্রেতাদের চলাচলের সুবিধার্থে মার্কেটেরে সামনে দিয়ে আলাদা সিড়ির ব্যবস্থা চালু হলেও সেটা অনেকটাই ঝুকি পুর্ন। কারন স্বাভাবিক ভাবে ৫ জন লোক উঠা নামা করার সময় পড়ে যাওয়ার বেশ ঝুকি রয়েছে। তাইতো ক্রেতা ও বিক্রেতাদের এখনো পছন্দের তালিকায় মাকের্েেটর জন্মলগ্ন থেকে তৈরি হওয়া প্রথম সিড়ির প্রবেশ পথটি।
এক সময় জড়াজীর্ণ ভবনের সামনে থাকা ঝরনাটিকে ভেঙ্গে সেখানে কার পার্কিং এর ব্যবস্থা করলেও সেটা এখন মার্কেট কর্তৃপক্ষের পকেট ভারি হওয়ার পথ হয়েছে। সেখানে নীচ থেকে পিলার দিয়ে উপর পর্যন্ত দিয়ে ভবনের ফ্লোর বাড়িয়ে বাটা কোম্পানীর কাছে ভাড়া দিয়ে ফায়দা লুটছে মালিক পক্ষ। অথচ রাজউক ও নগর পরিকল্পনাবিদদের এ নিয়ে তেমন কোন মাথা ব্যাথা দেখা যায়নি।
এদিকে স্বৈরাচারী সরকারের আর্শিবাদপুষ্ট হওয়ায় তার কাজে বেঘাত ঘটানোর সাহস হয়ে উঠেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। আর এতেই যেন মার্কেট কর্তৃপক্ষের লোভের সীমানা দীর্ঘ হতে শুরু করেছে।
সম্প্রতি মার্কেটের প্রধান প্রবেশ গেইট বন্ধ করে সেখানে দোকান তুলে মোটা অংকের সালামি নিয়ে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। যা কিনা মার্কেটে আগত ক্রেতাদের জীবনের ঝুকি বেড়ে চলছে।
এদিকে লক্ষ্য করা যায়, মার্কেটের প্রথম তলা থেকে ৩য় তলা পর্যরÍ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭০টি দোকান ও দেশের প্রথম সারির শো-রুম রয়েছে। যেখানে প্রায় ২শতাধিকের বেশি লোক কর্মরত আছে। পাশাপাশি নগরীর প্রাণ কেন্দ্রে মার্কেটটি অবস্থিত হওয়ায় প্রতিদিন প্রায় ১৫/১৮ হাজার ক্রেতা ও সাধারণ মানুষের আনাগোনা হয়।
বর্তমান মার্কেটের প্রধান প্রবেশ গেইট বন্ধ করে সেখানে দোকান তুলে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করা হচ্ছে। যা কিনা মার্কেটে কর্মরত লোকজন ও ক্রেতা-সাধারণ মানুষের জীবনের ঝুকি বেড়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও মার্কেটে কোন দুর্ঘটনা যেমন ভূমিকম্প, অগ্নিসংযোগ সহ নানা অনাকাঙ্খিত ঘটনায় বিপদে পড়লে সহসা মার্কেট থেকে রাস্তায় বের হওয়া বেশ ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়বে।
এছাড়াও এই জড়াজীর্ণ ভবনটি ৪র্থ তলায় রুপান্তরিত হলের রাজউক ও সিটি কর্পোরেশনের নগর পরিকল্পনাবিদের ঘুম ভাঙ্গেনি।
এ বিষয় মার্কেট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।