দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন নবীগঞ্জ ঘাট সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় অতিরিক্ত টোল আদায়ের প্রতিবাদে দিনব্যাপী সিএনজি চালিত অটোরিকশা বন্ধ রেখে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে চালকরা।
শনিবার ২৩ আগস্ট সকাল থেকেই তারা নবীগঞ্জ স্ট্যান্ডে প্রতিবাদ পরে তারা বন্দর থানা প্রাঙ্গণে এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
এঘটনায় নবীগঞ্জ ঘাট সিএনজি স্ট্যান্ডের ড্রাইভারদের পক্ষে বাদী আব্দুর রহিম (৫০) বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি উলে¬খ করেন, সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদিত চার্ট অনুযায়ী প্রতিটি সিএনজি থেকে দৈনিক ২০ টাকা টোল আদায় করার নিয়ম থাকলেও বিবাদী তথা ইজারাদার মোঃ মাসুদ রানা (৪০), মোঃ রাজু (৩৫) ও মোঃ শাহ জালাল (৪৫) এর নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিটি গাড়ি থেকে ৪০ টাকা টোল আদায় করা হচ্ছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ২২ আগস্ট সন্ধ্যায় বিবাদীরা টোল আরও বাড়িয়ে ৫০ টাকা আদায়ের ঘোষণা দেয়। এসময় চালকরা বিষয়টি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলে বিবাদীরা তাদেরকে লাইনে গাড়ি চালাতে না দেওয়ার হুমকি দেয়। পাশাপাশি সিএনজি চালকদের বিশ্রামাগার অফিস দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগে উলে¬খ করা হয়।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ চালকরা সকাল থেকে নবীগঞ্জ স্ট্যান্ডে অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রেখে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। পরে তারা বন্দর থানার সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
চালকরা জানান, তারা বিষয়টি নিয়ে ইউএনও, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ও সেনাবাহিনীর নিকটও অনুলিপি প্রদান করেছেন। তাদের দাবি বৈধ টোল আদায়ের নিশ্চয়তা ও দখলকৃত অফিস উদ্ধারে প্রশাসনের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।
তবে মাসুদ রানা বলেন,আমি নবীগঞ্জ রোডের বৈধ সিটি টোল ইজারাদার। আমি যাত্রীদের দূর্ঘটনা এড়াতে গাড়ি থেকে নিরাপদ পাশ দিয়ে নামানোর উদ্যোগ নিয়েছি। এবং বৈধ সিএনজি চালকদের কাগজপত্র চেয়েছি। কেননা অনেক অবৈধ গাড়ী এখানে যত্রতত্র রয়েছে। আর এজন্য তারা আমার বিরোদ্ধে প্রপাগন্ডা ছড়িয়ে অপপ্রচার করছে। মুলত সিটি টোল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নিয়ম অনুযায়ী নেয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত কোন টাকা নেয়া হয় না। গাড়ির বৈধ কাগজপত্র চাওয়াতেই তারা আমার বিরোদ্ধে চাদাবাজির টেক দিচ্ছে। যার কোন ভিত্তি নাই। আমি সঠিক নিয়মের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।