দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ ফতুল্লা মডেল থানায় প্রবেশ মুখেই একটি সাইনবোর্ডে লিখা “ থানায় জিডি-অভিযোগ-পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কিংবা মামলা” করতে কোন প্রকার টাকা পয়সা লাগেনা। এটা আসলে থানায় আগত প্রতিটি সেবা প্রত্যাশীদেরকে একটি লোভনীয় টোপ দিয়েছে থানা কর্তৃপক্ষ।
মুলত টাকা ছাড়া কোন সেবাই পাওয়া যায়না এখানে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কিংবা মামলা আবার বর্তমানে থানা অভ্যন্তরে অভিযোগ কিংবা জিডি করতেও টাকা দিতে হচ্ছে আগত সেবা প্রত্যাশীদেরকে। তবে পুলিশ বলে কাউকেই কিছু বলতে সাহস পায়না সেবা প্রত্যাশীরা।
ফতুল্লা মডেল থানায় বর্তমানে সাধারন ডায়েরী কিংবা অভিযোগ করতে ৫ শত থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওয়্যারলেস অপারেটর আবদুল মতিনের বিরুদ্ধে। ওয়্যারলেস অপারেটর মতিনের ডিউটি সকাল কিংবা রাতে হোক সে প্রতিদিনই থানার অভ্যন্তরে বসে সেবা নিতে আসা আগতদের নিজে লিখে দিয়ে জিডি কিংবা অভিযোগের জন্য ৫ শত থেকে একহাজার টাকা গুনে নিচ্ছে। মুলত ফতুল্লা মডেল থানায় প্রতিদিন বিভিন্ন মানুষ তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য পুলিশের কাছে আসেন।
জিডি কিংবা অভিযোগ সবকিছুই থানার বাহিরে থাকা কম্পিউটারের দোকান থেকে সুলভ মুল্যে তা সম্পাদন করেন। কারন থানা অভ্যন্তরে ডিজি কিংবা অভিযোগ লেখার জন্য কোন ডেস্ক কিংবা লোকও নেই। প্রতিদিন প্রায় দেড় শতাধিক জিডি কিংবা অভিযোগের জন্য থানাধীন প্রতিটি পাড়া-মহল্লা থেকে সাধারন মানুষ থানায় আসেন। এতলোকের অভিযোগ কিংবা জিডি থানায় কোন ব্যবস্থাপনা না থাকার কারনে থানার বাহিরে থাকা কম্পিউটার দোকান থেকে সম্পন্ন করে ডিউটি অফিসারের কাছে যায় সাধারন মানুষ।
কিন্তু ওয়্যারলেস অপারেটর মতিনের ডিউটি থাকার সময় বেশীরভাগ সময়ে তিনি নিজেই টাকার বিনিময়ে সম্পন্ন করে থাকেন। অথচ থানায় প্রবেশ মুখেই সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে থানায় সেবা নিতে টাকার প্রয়োজন হয়না। যার ফলে বাহিরে থেকে মাত্র ২০০ টাকায় যেটা সম্পন্ন করা যায় সেটা থানার ভেতরে ২ থেকে ৫গুন নিচ্ছে ওয়্যারলেস অপারেটর মতিন। এ বিষয়ে কয়েকদিন পুর্বে স্থানীয় গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হলেও অপারেটর মতিনের অভিযোগ লেখা বানিজ্য করতে পারেনি থানার অফিসার ইনচার্জ। বরং আরো বেপরোয়া বনে গেছেন অপারেটর মতিন।
দিনে মাত্র ৮ ঘন্টা ডিউটি থাকলেও থানা অভ্যন্তরে তাকে দ্বিগুন সময় পর্যন্ত দেখা যায় এবং অভিযোগ লিখে মোটা অংকের টাকা গুনছেন বসে বসে। ডিউটি অফিসারের সামনে দাড়িয়ে জিডি কিংবা অভিযোগ জমা দেয়ার নিয়ম হলেও ওয়্যারলেস অপারেটর মতিন ভেতরে প্রবেশ করিয়ে নিজেদের নিরাপত্তাকে দুর্বল করে তুলছে।
এছাড়াও পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য পুলিশকে ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকাও দিতে হচ্ছে আগত সেবা প্রত্যাশীরা। টাকা না দিলে ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রচুর ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় সাধারন মানুষকে। আবার অভিযোগের তদন্তে গেলে মোটা অংকের টাকাও দিতে হয় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে। টাকা না দিলে সঠিক তদন্তের জন্য পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়না এমন একাধিক অভিযোগ রয়েছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
ওয়্যারলেস অপারেটর আবদুল মতিন কর্তৃক টাকার বিনিময়ে থানা অভ্যন্তরে অভিযোগ কিংবা জিডি লেখা বন্ধ করে থানার সুনাম রক্ষার্থে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করে থানায় সেবা নিতে আসা আগতরা।