দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: ফতুল্লায় গ্যাসের চুলার পাইপ লাইন বিস্ফোরণে দগ্ধ স্ত্রীর পর স্বামী হাবিবুর রহমানেরও মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাবিবের মৃত্যু হয়।
এর আগে রোববার দিবাগত রাতে মারা যান হাবিবুর রহমানের স্ত্রী আলেয়া বেগম।
নিহত হাবিবুর রহমানের জামাতা বিপ্লব হোসেন জানান, ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। সকাল ১০টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড থেকে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। রাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
বিপ্লব জানান, ফ্লাট বাসার গ্যাসের চুলার লাইন থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। চুলা বন্ধ ছিল। লাইনে লিকেজের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও ওই এলাকায় বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনা ঘটেছে। এজন্য গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থা দায়ী।
বিপ্লব আরও জানান, পরিবারের ছয়জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বিপ্লবের স্ত্রী ও দুই মাসের সন্তান মিহির, শ্বশুর হাবিবুর রহমান, শাশুড়ি আলেয়া বেগম, আলেয়ার বৃদ্ধা মা ও নবম শ্রেণি পড়ুয়া শ্যালক। তাদের মধ্যে আলেয়া বেগম আইসিইউতে ছিলেন। তার শরীরের ৮০ ভাগের বেশি পুড়ে যায়। তিনি রোববার মারা যান। এর একদিন পর হাবিবুর রহমান মারা গেলেন। তার অর্ধেক শরীর পোড়া ছিল।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় তল্লা জামাইবাজার এলাকায় মফিজুল ইসলামের তিনতলা বাড়িতে গ্যাসের চুলার লাইন থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হন।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, ওই বাড়ির তৃতীয় তলায় গার্মেন্টস শ্রমিক কয়েকটি পরিবার বসবাস করত। রাতে দগ্ধ পরিবারের লোকজন চুলার বার্নার বন্ধ না করেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাতে চুলা থেকে গ্যাস বের হয়ে রান্নাঘরসহ অন্যান্য ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। ভোরে যখন রান্নার জন্য চুলায় আগুন জ্বালায় তখন গ্যাসের পাইপ লাইনের বিস্ফোরণ ঘটে।