দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় রঘুনাথপুর ফখরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করেছে সন্ত্রসীরা। ফতুল্লার রঘুনাথপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা তিন চার জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ওই ব্যবসায়ী।
অভিযুক্তরা হলো- বেলায়েত (২৫), রুহুল আমিন (৫৫), জনি (২৫), সাব্বির (২৫) প্রত্যেকেই রঘুনাথপুর এলাকার বাসিন্দা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়,ফখরুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবৎ রঘুনাথপুর এলাকায় ঝুট ব্যবসা করিয়া আসিতেছে। সোমবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ১১ টার দিকে রঘুনাথপুরস্থ ইনসেন্টিভ নামীয় গার্মেন্টস হইতে ঝুট নামানোর সময় নব্য আওয়ামী লীগ নামধারী বেলায়েত,রুহল আমিন,জনী ও সাব্বীরসহ তাহাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী ফকরুল ইসলামের উপর হামলা চালায় ও তাহাদের হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা এলোপাথারী বারি মারিয়া দুই পায়ে নীলাফুলা জখম করে ও তাকে হুমকি দেয় যে উক্ত এলাকায় কোন ঝুট ব্যবসা করতে দিবেনা আর পরবর্তীতে কোন গার্মেন্টস হইতে ঝুট নামাইতে যায় তাহা হলে তাকে প্রানে মেরে ফেলবে এ সময় তার কাছ থেকে প্রায় ৫০ বস্তা ঝুট,
গলায় থাকা ০১ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন, পকেটে থাকা নগদ- ১২ হাজার টাকা জোর পূর্বক নিয়া যায়। অতঃপর উক্ত বিষয়ে ফকরুল ইসলাম গার্মেন্টস মালিকদেরকে অবহিত করিলে বিবাদীগণ ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার
(২৯ এপ্রিল)বেলা সাড়ে ১১ টা দিকে উক্ত ইনসেন্টিভ নামীয় গার্মেন্টস হইতে ঝুট নামানোর জন্য গেলে অভিযোগ কারী চার সন্ত্রাসীসহ তাহাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র, লোহার রড, ছুরি, চাকু, চাপাতি, হকিষ্টিক নিয়ে অতর্কিত ভাবে এলোপাথারী মারধর করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে।
১নং বিবাদী হত্যা করার উদ্দেশ্যে তাহার হাতে থাকা চাপাতি দ্বারা মাথায় কোপ মারিয়া মাথার ডান পাশে গুরুত্বর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। মাটিতে লুটাইয়া পরিলে ২নং বিবাদী প্রাণ নাশ করিবে মর্মে জানাইয়া তাহার হাত দ্বারা গলা চাপিয়া শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। ৩ হইতে ৫নং বিবাদীগণ এলোপাথারী কিল, ঘুষি ও লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। ৪নং প্যান্টের ডান পকেটে থাকা ঝুট ক্রয়করার নগত- ২২ হাজার টাকা নিয়া যায়। এমতাবস্থায় ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে উক্ত বিবাদীগণ ফকরুল ইসলামকে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি ও জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে ।
অতঃপর লোকজন ফকরুল ইসলামের অবস্থা গুরুত্বর দেখিয়া নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়া চিকিৎসা গ্রহণ করে।
এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।