দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বন্দরে ভন্ড কবিরাজের কাছ থেকে পাওনা টাকা চাওয়ায় দুই দফা সন্ত্রাসী হামলায় ২ মহিলাসহ ৭ জন রক্তাক্ত জখম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ওই সময় সন্ত্রাসীরা বসত ঘরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাংচুর করে নগদ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ২টি মোবাইল সেট ও একটি গলার চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা হলো আনোয়ার হোসেন (৫২) মোক্তার হোসেন (৪৭) শোভন (২৪) ফরহাদ (২৬) শামীম (৪০) সেলিনা বেগম (৩৮) ও রুমা বেগম (৩৬)। এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় বন্দর থানার ২৬ নং ওয়ার্ডের ধামগড় ইস্পাহানী ডকইয়ার্ডের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে আহত শামীম মিয়্ াবাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার দুপুরে বন্দর থানায় ভন্ড কবিরাজ অলামিন ও তার শ^শুড় ইলিয়াছ মেম্বারসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
মামলার বাদী আহত শামীম গনমাধ্যমকে জানান, আমার বড় ভাই আনোয়ার হোসেনকে ব্যবসায় উন্নতি ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের প্রলোভন দেখিয়ে সোনাচরা এলাকার ভন্ড কবিরাজ আলামিন ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। ভন্ড কবিরাজ আলামিনের ধারায় উপকৃত না পেয়ে আমার ভাই আনোয়ার হোসেন গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কবিরাজ আলামিনের নিকট তার পাওনা টাকা দাবি করে।
ওই সময় ভন্ড কবিরাজ আলামিন ও রামনগর এলাকার মৃত আয় চাঁন মিয়ার ছেলে ইলিয়াছ মেম্বার ও তার ৩ তিন সন্ত্রাসী ছেলে সাদ্দাম, তানসিন ও শামীম মনারবাড়ী এলাকার আব্দুল বারেক মিয়ার ছেলে জহুরুল ইসলাম ও একই এলাকার দেলোয়ার মিয়ার ছেলে রুবেলসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জন সন্ত্রাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার বড় ভাই আনোয়ার হোসেনের উপর হামলা করে। আমার ভাইয়ের চিৎকারের শব্দ পেয়ে আমিসহ আমার আরেক ভাই মোক্তার হোসেন, ভাতিজা শোভন,ভাবি সেলিনা বেগম ও রুমা বেগম ঘটনাস্থলে আসলে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা আদমাদেরকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেদম ভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
পরে সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়ীতে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাংচুর করে নগদ টাকা মোবাইল সেট ও একটি চেইন ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয় এলাকাবাসী আমাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে আমার বড় ভাই ও ভাতিজাসহ ৪ জন ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিৎিসাধীন রয়েছে। তাদের অবস্থা আশংকা জনক বলে ডাক্তারা এ কথা জানিয়েছে। অভিযোগ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।