দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বন্দরে মোল্লাবাড়ি এলাকায় অবৈধ ভাবে সরকারি রাস্তা স্কুলের মাঠ ও মসজিদের জমি কেটে ও ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তি দিয়ে বিনা অনুমোতিতে পয়নিস্কাশনের পাইপ স্থাপনে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীর কাছ থেকে চাঁদা তুলে পানি অপসারনের পাইপ নেয়ার নামে এলাকার ১৩/১৪ পরিবারের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা বাণিজ্য করার অভিযোগ উঠেছে মোল্লাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি রাসেল আল এনামুল হকসহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসী জানান, বিদ্যালয়ের সভাপতি রাসেল আল এনামুল হক একই এলাকার রাসেদুল মোল্লা, রশিদ বেপারী, আলী আহাম্মদ মোল্লাকে নিয়ে সিন্ডিকেট করে এলাকার পানি নিস্কাশনের জন্য পাইপ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। এ পাইপ বসানোর জন্য প্রতিটি পরিবার থেকে ২৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয়। তখন তারা পিভিসি পাইপ কিনে সরকারি অনুমোতি ছাড়া ও প্রভাব খাটিয়ে এলজিআরডি রাস্তা কেটে, সরকারি স্কুলের মাঠ ও ওয়াক্ফকৃত মসজিদের জমি কেটে পাইপ বসানো শুরু করে। এ সময় ব্যক্তি মালিকা জমির উপর দিয়ে পাইপ নিতে চাইলে বাধার মুখে পড়ে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। জানা গেছে, রশিদ বেপারী, সেলিম বেপারী ২৫ হাজার করে টাকা দেয়।
এ বপারে মৃত মিছির আলী স্ত্রী রাশিদা বেগম জানান, পাইপ স্থাপনের জন্য তার কাছ থেকে দুই বাবে ৪০ হাজার টাকা নিয়েছে স্কুলের সভাপতি রাসেল, শহিদুল্লা মিয়ার স্ত্রী হালিমা বেগম জানান, তার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত তিনি ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন। বাকি ১৫ হাজার টাকা দিতে হবে রাসেলকে। এভাবে প্রতিটি পরিবারের কাছ থেকে একটি পাইপের ড্রেন নির্মাণের নামে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্য করেছে বলে স্কুলের সভাপতি রাসেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ব্যপারে স্কুলের সভাপতি রাসল বলেন, পঞ্চায়েত কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক পয়নিস্কাশনের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত হয়। সেমতে কাজ হচ্ছে।
আর অর্থ বাণিজ্যের কথা তিনি অস্বীকার করে বলেন, এটা মিথ্যা ও বানোয়াট। তবে বিষয়টি উপি চেয়ারম্যানকে জানিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, তিনি স্কুলের সভাপতি তবে স্কুলের জমি ব্যবহার করে ড্রেন নির্মাণের কোন অনুমতি তিনি দেননি। এছাড়া মসজিদ কমিটিও কোন অনুমতি দেয়নি।
এ ব্যপারে বন্দর ইউপি চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন বলেন, অর্থ বাণিজ্যের কথা জানিনা। তবে এলাকাবাসীর স্বার্থে ড্রেন নির্মাণের জন্য আমার কাছে এসেছে তারা নিজ অর্থায়নে ড্রেন নির্মাণ করতে চাইলে আমি তাদের অনুমতি দেই। তবে রাস্তাটি ইটের সলিং তাই রাস্তা কাটলেও পুনরায় তারা মেরামত করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি তাদের। যেহেতু বিষয়টি জনস্বার্থে তাই আমি সেদিকে নজর দেইনি। অনুমতি ছাড়া ড্রেন নির্মাণে এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ ব্যপারে হুমায়ূন মোল্লা বলেন, ড্রেন জনস্বার্থে নিবে তাতে আমাদের ে কান বাধা নেই। তবে ড্রেন নির্মাণে অর্থ বাণিজ্য এটা মেনে নেয়া যায় না। আর যেহেতু আমাদের সম্পত্তির উপর দিয়ে ড্রেন নিবে এ জন্য আমাদের সাথে আলাপ করে অনুমতি নেয়া দরকার ছিল।