দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ ফতুল্লা ধর্মগঞ্জ এলাকার ডাকাত সর্দার ও একাধিক মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী রুহুল আমিন মেম্বারকে (৫৭) গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনার দাবি করেছে এলাকাবাসি।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠ এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে রুহুল আমিন ওরফে রুহুল মেম্বার দীর্ঘদিন যাবত একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের নেতৃত্ব দিয়ে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। তার ডাকাত দলের মাধ্যমে বক্তাবলী ও ধর্মগঞ্জের নদীপথ তিন গাঙ্গের মোড় নামক স্থানে নৌ ডাকাতি পরিচালনা করে আসছে।
ইতিপুর্বে বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা হলেও আইনের ফাক দিয়ে বের হয়ে আবার বিভিন্ন অপকর্মের সাথে লিপ্ত হচ্ছে রুহুল মেম্বার। গত ১৫ আগষ্ট রবিবার এলাকাবাসির সহযোগীতায় মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার বালুর চর গ্রাম থেকে রাতের আধাঁরে ইট ভাটার সিকিউরিটি গার্ডকে হাত পা বেধেঁ সেখান থেকে রুহুল আমিন মেম্বারের নেতৃত্বে ডাকাতি করে আনা ৯টি গরু সহ তার দুই সহযোগী স্থানীয় মৃত হাবিব মিয়ার ছেলে সেন্টু ও মৃত মরন আলীর ছেলে হালিমকে আটক করলেও সু চতুর রুহুল মেম্বার ও তার আরেক সহযোগী রিজওয়ান পরিস্থি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় রুহুল আমিন মেম্বারকে প্রধান আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে যার নং ৫৩৬ ধারা ৪১৩ পেনাল কোড ১৮৬০। স্থানীয় এলাকাবাসির নিকট আটক কৃত রুহুল আমিন মেম্বারের দুই সহযোগী সেন্টু ও হালিম প্রথমে রুহুল আমিন মেম্বারের নিকট থেকে গরুগুলো কেনার কথা বললেও পরে পুলিশের কাছে স্বীকার করছে রুহুল মেম্বারের দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু ডাকাতি করে এনে ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকার কসাইদের নিকট বিক্রি করে। চুরি, ডাকাতি,
ছিনতাই সহ বহু অপকর্মর হোতা রুহুল মেম্বারের বিরুদ্ধে ফুসে ওঠেছে ফতুল্লা ধর্মগঞ্জের মানুষ। নারায়ণগঞ্জের সুযোগ্য পুলিশ সুপারের নিকট এলাকার শান্তি প্রিয় মানুষের দাবি রুহুল আমিন মেম্বারকে গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হোক।