দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিশাল শোক র্যালী ও আলোচনা সভার নামে কি করলেন জাতীয় শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ কাউসার আহমেদ পলাশ শোক র্যালী নাকি আনন্দ র্যালী ? এমনটাই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে নগরবাসীর কাছে।
মঙ্গলবার ( ৩১ আগষ্ট ) পাগলা থেকে প্রায় ৫০টি ট্রাকের বহর নিয়ে কাউসার আহমেদ পলাশের নেতৃত্বে শহরের ডিআইটি প্রদক্ষিন করে পুনরায় আলীগঞ্জে গিয়ে সমাপ্ত করেন সেই র্যালীটি।
শোক র্যালীর নামে বেশীর ট্রাকে ছিলো মাইক এবং ২/১টি ট্রাকের মধ্যে ছিলো সাউন্ড সিষ্টেম। যেখানে সাউন্ড সিষ্টেমে ছিলো বঙ্গবন্ধুর ভাষন আর মাইকগুলোতে ছিলো বিভিন্ন প্রকার শ্লোগানমুখর। আর ট্রাকের সামনে ছিলো প্রায় ৩০/৩৫ হোন্ডা। জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু! পলাশ ভাইয়ের ভয় নাই রাজপথ ছাড়ি নাই !
দুনিয়ার মজদুর এক হও এক হও! তোমার ভাই আমার ভাই পলাশ ভাই পলাশ ভাই! অথচ আয়োজনটি ছিলো শোকের মাসে শোক র্যালী যেখানে থাকবেনা কোন শ্লোগান,থাকবেনা কোন উল্লাস, থাকবে শুধুমাত্র মৌনতা। কিন্তু প্রতিটি ট্রাকেই কর্মীদের হাতে ছিলো লাশ নিশান অবশ্য কিছু কিছু কর্মীর হাতে শোকের সেই কালো নিশানটিও দেখা যায়।
কাউসার আহমেদ পলাশের নেতৃত্বে যখন পাগলা থেকে ছেড়ে আসা ট্রাকগুলো চাষাড়া ক্রস করে ডিআইটি মুখী হয় তখন শহীদ মিনার ও সড়কে অবস্থান করা প্রতিটি মানুষের দৃষ্টিকাড়ে শোকের র্যালীর পরিবর্তে পলাশের আনন্দ র্যালীটি। সাধারন মানুষের পাশাপাশি আইন-শৃংখলা বাহিনীও এটাকে কটু চোখে অবলোপন করেন। অনেকেই পলাশের এ আয়োজনটি একটি বিজয় বা আনন্দ মিছিল মনে করেন। কারন শোকের কোন র্যালীতে কোন শ্লোগান থাকেনা থাকে সুনশান নিরবতা। কিন্তু তার পরিবর্তে এখানে হলো সম্পুর্ন উল্টোচিত্র।
আবার অনেকে বলেন,পলাশ একজন বিচক্ষন রাজনীতিবিদ। তিনি তো জানেন কোথায় কি প্রয়োজন হয়। একটি শোকের র্যালীতে তার নেতৃত্বে কিভাবে এত শ্লোগানমুখরিত হয়ে কর্মীরা আনন্দ উল্লাস করেন। আবার সেই শোক র্যালীতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর কুতুব আলম মান্নান।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ কাউসার আহমেদ পলাশের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ভাই আমি অসুস্থ মানুষ আমি এখন হসপিটালে যাচ্ছি। যারা শ্লোগান দিয়েছে আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন।