দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: সিদ্ধিরগঞ্জে রুমা আক্তার (১৭) নামে এক পোশক শ্রমিক মৃত্যুর পাঁচমাস পর হত্যার অভিযোগ তুলে দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে পিটিশন মামলা করা হয়েছে। নিহতের মা রহিমা আক্তার (৪৮) বাদী হয়ে ২০ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ক অঞ্চল) আদালতে পিটিশন মামলা করেন।
রুমা আক্তারের মৃত্যুর ঘটনা বিষয়ে থানা পুলিশ কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন সে বিষয়ে তিন দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা ফেরদৌস।
মামলার বাদী রহিমা আক্তার কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানার গনেশপুর গ্রামের নাসিরের স্ত্রী। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের নয়াআটি মুক্তিনগর এলাকার ভাড়াটিয়া।
আসামি করা হয়েছে, নিহতের বান্ধবী পাঠানটুলী এলাকার পাগলার বাড়ির ভাড়াটিয়া আসমা আক্তার টুম্পা (২৫) ও একই এলাকার আইলপাড়ার রূপচান মিয়ার ছেলে মো: জিতু (৩৬)।
পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাদীর মেয়ে রুমা আক্তর গত ১৩ মে সন্ধ্যায় বান্ধবী টুম্মার বাসায় যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। পরে ১৪ মে বিকেল পাঁচটায় বাদীকে মোবাইল ফোনে জানায় মা আমাকে ওরা শেষ করে ফেলছে। আমি আর বাঁচবো না। এর পর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পর দিন ১৫ মে ভোর চারটার দিকে টুম্পা বাদীকে ফোনে জানায়, রুমার শারীরিক অবস্থা ভাল না। তাকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে যাচ্ছি। আপনি আসেন।
নবীগঞ্জ গুদারা ঘাট গিয়ে টুম্পাকে ফোন করলে সে দূর থেকে একটি অটোরিক্সা দেখিয়ে দেয়। অটোরিক্সার কাছে গেলে টুম্পা বলে জিতুর মালিকানাধীন নারায়ণগঞ্জ শিল্প নিত্যকলা ডান্স একাডেমী ক্লাবে মদ্যপান করে রুমা অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। বাদীর সন্দেহ হলে স্বাজনদের নিয়ে নিহতের লাশ ও টুম্মাকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নিয়ে আসেন। তখন পুলিশ টুম্পাকে থানা হাজতে আটক করে।
লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। রুমাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ তুলে থানায় মামলা করতে চাইলে পুলিশ ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মামলা করবে জানিয়ে লাশ বুঝিয়ে দেয়। পরে লাশ দাফন করে থানা পুলিশের কাছে যোগাযোগ করলে রিপোর্ট আসেনি বলে সময় ক্ষ্যাপন করতে থাকে। অপরদিকে আটক টুম্পাকেও ছেড়ে দেয় পুলিশ। অনেকদিন থানায় ঘুরাঘুরি করলেও পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। ফলে আদালতের দারস্থ হয়।