দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: করোনা কালীন সময়ে স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল। এখন করোনার প্রার্দূভাব কমে যাওয়ায় সরকার স্কুল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও পাঠদানে তেমন মনোযোগী না হওয়ার সুযোগে বেড়েছে বাল্যবিবাহ। তাই বিয়েকেই একমাত্র নিরাপদ মনে করছেন অভিভাবকরা।
তাই প্রশাসনের চোঁখ ফাঁিক দিয়ে সম্প্রতি বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নে ৫ম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক কোমলমতি শিক্ষার্থীকে বিয়ের পিড়িতে বসিয়েছেন খোদ তারই পিতা-মাতা। এমন ঘটনাটি ঘটেছে উল্লেখিত ইউনিয়নস্থ ঘাড়মোড়া কোনাবাড়ি এলাকার আলম মিয়ার বাড়িতে।
জানাগেছে,বন্দর উপজেলার ঘারমোড়া কোনাবাড়ি এলাকার আমির হামজা ওরফে আলমের স্কুল পড়–য়া মেয়ে ঘারমোড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী (১৩)কে তার ইচ্ছার বিরোদ্ধে বাল্য বিবাহ দিচ্ছে তার পিতা মাতা। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঘারমোড়া কোনাবাড়ি এলাকায় আমির হামজা গোপনে সোনাকান্দা এলাকার কাজী মাসুমকে ডেকে এনে এনায়েত নগর এলাকার প্রবাসী এক পাত্রের সাথে তার স্কুল পড়–য়া নাবালক মেয়ের সাথে বিবাহ সম্পন্ন করে। আগামী শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে কলাগাছিয়া ইউনিয়নস্থ ঘারমোড়া ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার হাবিব জানায়,আমার ওয়ার্ডে বাল্য বিবাহের ঘটনাটা আমি কিছুই জানি না। খবর নিয়ে আপনাদেও জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে ঘারমোড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা জানান, স্কুল বন্ধ থাকায় আমরা শিক্ষার্থীদের খবর নিতে পারছিনা। বর্তমানে অভিভাবকরা বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করছেন নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে। নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তারা বিয়ে সম্পন্ন করে হুজুর ডেকে মোনাজাত করে মনে করছেন বিয়ে হয়ে গেছে। তবে এটি অবৈধ।