দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বন্দরে ব্রম্মপুত্র নদী থেকে শান্ত (১৬) নামে এক হোসিয়ারী শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। গত ৩১ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে নিহত শান্ত পিতা সেলিম মিয়া বাদী হয়ে বন্দরে থানায় এ অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।
এদিকে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকা সন্দেহে আটককৃত ৬ বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অপমৃত্যু মামলার বাদী সেলিম মিয়ার জিম্মায় তাদেরকে রাতেই ছেড়ে দেয় কলাগাছিয়া নৌ ফাঁড়ী পুলিশ।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ মার্চ মঙ্গলবার রাতে হোসিয়ারী শ্রমিক শান্তসহ তার ৬ বন্ধু মিলে নৌকা দিয়ে ব্রম্মপুত্র নদী ঘুরতে যায়। পরে তারা সেখানে মাদক সেবন করে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে। ঝগড়া এক পর্যায় শান্তকে মারধর করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। পরে ৩০ মার্চ দুপুরে হাজরাদী এলাকার লোকজন ব্রম্মপুত্র নদীতে গোসল করতে এসে লাশ দেখতে পেয়ে কলাগাছিয়া নৌ ফাঁড়ী পুলিশকে সংবাদ জানায়।
পরে নৌ ফাঁড়ী উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসানসহ সঙ্গীয় র্ফোস দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে দুপুরে নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় শান্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের র্মগে প্রেরণ করে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত শান্ত বন্ধু কলাগাছিয়া ইউনিয়নের হাজরাদী এলাকার মাহাবুব মিয়ার ছেলে বিল্পব (১৮) একই এলাকার শহিদুল্লাহ মিয়ার ছেলে রনী (১৮) জিধরা এলাকার শহিদুল ইসলাম মিয়ার ছেলে আকাশ (১৭) কলাগাছিয়া নিশং এলাকার মোক্তার হোসেনের ছেলে মিনহাজ (১৮) মহনপুর এলাকার রুপ চাঁন মিয়ার ছেলে আশরাফুল ইসলাম (১৮) ও একই এলাকার জামান মিয়ার ছেলে সাজিদ (১৭)কে আটক করে। পরে এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে বন্দর থানায় অপমৃত্যু মামলা রুজু করে আটককৃতদের নিজ জিম্মায় ছাড়িয়ে আনে।
এ ব্যাপারে কলাগাছিয়া নৌ-ফাঁড়ী উপ-পরিদর্শক মেহেদী গনমাধ্যমকে জানান, আমরা লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছি। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। আটককৃতদের বাদী নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। ময়না তদন্তের রির্পোট হাতে পেলে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।