দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বন্দরে পাষান্ড স্বামী ও শ^শুড় বাড়ী লোকজনদের অমানষিক র্নিযাতন সইতে না পেরে ২ মাসের অন্তসত্বা নববধূ বিথী আক্তার (১৯) স্বামীর নিজ ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
৭ এপ্রিল রোববার সকাল ১১টায় বন্দর থানার ২৭ নং ওয়ার্ডস্থ মুরাদপুর এলাকায় এ আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে। এলাকাবাসী মাধ্যমে ধামগড় ফাঁড়ী পুলিশ সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ওই নববধূ মৃতদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের র্মগে প্রেরন করেছে।
আত্মহননকারি নববধূ বিথী আক্তার সোনারগাঁ থানার মহজমপু এলাকার সিএনজি চালক কফিল উদ্দিন মিয়ার মেয়ে বলে জানা গেছে। আত্মহত্যার ঘটনার পর থেকে পাষান্ড স্বামীসহ শ^শুড় বাড়ি লোকজন পলাতক রয়েছে।
এ ঘটনায় আত্মহননকারি নববধূর পিতা দিনমজুর কফিল উদ্দিন বাদী হয়ে পাষান্ড স্বামী ও শ^শুড়/ শ^শুড়ীসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনা আইনে এ মামলা দায়ের করেন।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ মাস পূর্বে সোনারগাঁ থানার মজমপুরস্থ উত্তর কাজীপাড়া এলাকার কফিল উদ্দিন মিয়ার মেয়ে বিথী আক্তার (১৯) এর সাথে বন্দর থানার ২৭ নং ওয়ার্ডের মরাদপুর এলাকার নূর মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে আশিক (২৫) এর সাথে। ৫ মাসের সংসারে নববধূ বিথী আক্তার ২ মাসের অন্তসত্বা হয়ে পরে। বিয়ের সময় মেয়ে সুখের কথা চিন্তা করে দিনমজুর পিতা কফিল উদ্দিন স্বামী আশিক ও তার পরিবারকে নগদ ৩লাখ টাকা প্রদান করাসহ একটি খাট, একটি ডেসিন টেবিল ও দেড় ভড়ি স্বার্ণালংকার প্রদান করি।
গত ২৮ মার্চ শ^াশূড়ী আশেয়া বেগম ও শ^শুড় নূর মোহাম্মদ প্ররোচনায় যৌতুক লোভী স্বামী আরো ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। এ নিয়ে প্রায় সময় নববধূকে উল্লেখিত বিবাদীরা নববধূ বিথী আক্তারকে মারধর করে। পরবর্তিতে দিনমজুর পিতা কফিল উদ্দিন মেয়ে সুখের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সময়ে দাবিকৃত যৌতুকের টাকা প্রদান করি।
এর ধারাবাহিকতায় ১২ এপ্রিল শ^াশুড়ী আয়েশা বেগম অন্তসত্বা নিয়ে নববধূ বিথীকে প্রচন্ড চাপ প্রয়োগ করে। পরে পাষান্ড স্বামী আশিকের বড় দুই ভাই আরিফ ও শামীম এবং তাদের পিতা শ^শুড় নূর মোহাম্মদসহ অজ্ঞাত নামা ২/৪ জন নববধূকে গালাগালি করে। ওই সময় নববধূ বিথী আক্তার ভাসর ও শ^শুড়কে গালাগালি করতে নিষেধ করলে ওই সময় পাষান্ড স্বামী আশিক ক্ষিপ্ত হয়ে নববধূবে বেদম ভাবে পিটিয়ে নিলাফুলা জখম করে।
উল্লেখিত যৌতুক লোবী পরিবার নববধূ বিথীকে বাচ্চা নষ্ট করার কথা বলে। এর ধারাবাহিকতায় ১৭ এপ্রিল রোববার সকাল ৯টায় বন্দর থানার মুরাদপুর ভ’ইয়াবাড়ীতে স্বামী আশিক ও শ^াশুড়ী আয়েশা বেগম নববধূকে গর্ভসন্তান নষ্ট করার জন্য চরম ভাবে অপমান করাসহ নানা ভাবে হুমকি দামকি দেয়। এ ঘটনায় ওই দিন বেলা ১১টায় নববধূ বিথী আক্তার পাষান্ড স্বামী ও শ^শুড় বাড়ি লোকজনদের অমানবিক নির্যাতন সইতে না পেরে নিজ ঘরের ফ্যানের সাথে কাপড় পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানা অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহা গনমাধ্যমকে জানান, নববধূর লাশ উদ্ধার করে র্মগে প্রেরণ করা হয়ছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আত্মহত্যার ঘটনার পর থেকে স্বামীসহ শ^শুড় বাড়ি লোকজন পলাতক রয়েছে। আমাসীদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।