দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে তারা এমনটাই মনে করছেন তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা। সাগর সিদ্দিকীকে আটকের পর থেকেই নারায়ণগঞ্জের তৃণমূল বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ।
গত সোমবার রাত ৮টার সময় পল্টনের নিজ অফিস থেকে বের হওয়ার সময় মামুন মাহমুদকে ৩ জন দুর্বৃত্ত ছুরিকাঘাত করে। তাদের একজন জুয়েল মিয়াকে স্থানীয়রা আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সাগর সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাগর সিদ্দিকী ফতুল্লার তুষার আহম্মেদ মিঠুর ছেলে। সে মামুন মাহমুদের ওপর হামলার জন্য জুয়েলসহ তিনজনকে অর্থের বিনিময়ে ভাড়া করে। জুয়েল ঢাকার বাসাবো এলাকায় বসবাস করে।
একটি সূত্র জানায়, মামুন মাহমুদের ওপর হামলার নেপথ্যে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির একজন বহিষ্কৃত নেতা এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের আরো দুজন নেতার নাম জানিয়েছে সাগর। পরিকল্পনাকারী তিনজনের একজন জেলা বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত এবং অপর দুজনের একজন একজন রূপগঞ্জ ও আরেকজন ফতুল্লা অঞ্চলের বলে জানা গেছে।
সাগর সিদ্দিকী ওরফে দিদার আলম সিদ্দিকী (সাগর) বর্তমান নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি পদে নিয়োজিত রয়েছেন। সাগর সিদ্দিকী নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির বহিস্কৃত নেতা এড. তৈমুর আলম খন্দকার ও ফতুল্লার বিএনপি নেতা ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোঃ চৌধুরীর ঘনিষ্টজন হিসেবে সুপরিচিত।
সূত্র আরো জানায়, ওই তিনজনের পরিকল্পনায় সাগর সিদ্দিকী তিনজন ছিচকে সন্ত্রাসীকে অর্থের বিনিময়ে ভাড়া করে। যাদের একজন জুয়েল ঘটনার পরপরই আটক হয়। তবে, আটক হওয়া জুয়েল সাগর সিদ্দিকী ছাড়া অন্য কাউকেই চিনেন বলে জানা গেছে। তার তথ্যমতে, স্বীকারোক্তিতেই সাগর সিদ্দিকীকে আটক করে পুলিশ।