দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ক্রোকেরচর গ্রামে পরকিয়া প্রেমের জের ধরে স্থানীয় দর্জি ও বাদাম বিক্রেতা দিদার হোসেন হত্যাকান্ডকে পুঁজি করে বানিজ্যে মেতে উঠেছে একটি স্বার্থান্বেষী ও কুচক্রী মহল।
এর নৈপথ্য নায়কের ভূমিকা পালন করছেন আলীরটেকের চিহিৃত ভূমিদস্যু ও একজন ২০২১ সালের ইউপি নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন অভিযোগ সাধারণ মানুষ ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের।
রবিবার (৭ আগষ্ট) সকালে ক্রোকেরচর বাজারে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এলাকার শালিশ কামাল হোসেন বলেন,যে দিন দিদার হোসেন মারা যায় সেদিন আমি সহ মেম্বার সৈয়দপুর ছিলাম।নিহত দিদারের পিতা জালাল মিয়া,দিদারের ভাই জয়নাল ও জামাল আমাদের ফোনে ডেকে নেয়।
গিয়ে লাশ মেঝেতে দেখতে পাই।জালাল,তার স্ত্রী ও পুত্রবধু পুলিশ কে না জানিয়ে লাশ দাফন করতে বলেন দিদারকে কাটাছেঁড়া করতে হবে বলে। (যার একটি ভিডিও গনমাধ্যম কর্মীদের হাতে দেন)। ৪ দিনের অনুষ্ঠান করা হয় আফজলের বাড়িতে। ৫ দিন পর জালাল বলেন আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। ৫ লাখ টাকা দাও নইলে আমি মামলা করবো। তবে আমি বিকালে জানাচ্ছি বলে ইটভাটার বৈঠক হতে চলে আসেন জালাল।
নিহত দিদারের বাবার বন্ধু ও চা দোকানী মালেক বলেন,আমি রাত ৮ টায় খবর পাই জালালের ছেলে দিদার মারা গেছে। মাথায় রক্তের দাগ ছিল।জালাল বলে নাতি পুতি আছে ওদের মানুষ করতে হবে। ৫ লাখ টাকা প্রথম চায় জালাল। পরে বুঝে নেই বলে চলে যায়।
আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ রওশন আলী বলেন,নিহত দিদারের পরিবার জানিয়েছে দিদার কাউকে কিছু না বলে বাসা হতে বের হয়ে যেতো। মাথায় সমস্যা আছে। তারা লাশ দাফন করতে বলেছে। জালাল তার ছেলে হত্যার ক্ষতিপূরনের জন্য সকালে ৫ লাখ,বিকালে ১০ লাখ ও রাতে ১৫ লাখ টাকা দাবী করে।
এলাকাবাসী জানান নিহত দিদারের লাশ তার আপন মামা আফজালের বাসা থেকে পাওয়া যায়। ঐ কুচক্রী মহল দিদার হত্যাকান্ডকে পূঁজি করে বানিজ্যে মেতে উঠেছে। বিভিন্ন লোককে হুমকি দিচ্ছে দিদার হত্যা মামলায় ফাঁসি দেবার।
দিদার হত্যার প্রকৃত খুনীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে রওশন মেম্বার সহ এলাকাবাসী আইন শৃঙ্খলা বাহিনী প্রতি জোর দাবী জানান। (জাগো না’গঞ্জ)