দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে বিএনপি’র শোভাযাত্রায় পুলিশের গুলিতে নিহত যুবদল কর্মী শাওন হত্যার অভিযোগে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এড.রুহুল কবির রিজভী নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারসহ ৪২ জনকে আসামি করে আবেদন করা মামলাটি খারিজ করেছে।
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট ইমরান মোল্লা এ মামলার আবেদনটি খারিজ করেন।
মামলা খারিজের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট ইন্সপেক্টর মোঃআসাদুজ্জামান জানান,সকালে বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বাদী নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার সহ ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো আসামী করে শাওন হত্যা মামলার আবেদন করেন। নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
ইমরান মোল্লা বাদীর শুনানি নিয়ে বিষয়টি আদেশের অপেক্ষায় রেখেছিলেন। পরে বিকেল ৪টায় ফৌজদারি কার্যবিধির ২০৩ ধারায় বিচারক মামলাটি খারিজ করার আদেশ দেন।
এর আগে সকাল সকালে বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিএনপি’র ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে বিএনপি’র শোভাযাত্রায় পুলিশের গুলিতে নিহত যুবদল কর্মী শাওন হত্যার অভিযোগ এনে ডিবির এস আই মাহফুজুর রহমান কনক,নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) নাজমুল হাসান, সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) তারিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আমীর খসরু, পুলিশের কনস্টেবল শাহরুল আলম, সোহাগ, আরিফ দেওয়ান, ফেরদৌস দেওয়ান, সেলিম, রিপন, যুগল, মামুন, রিয়াজ, হাফিজ, সহকারী উপ পরিদর্শক ইকবাল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, পুলিশের কনস্টেবল জাকির হোসেন, নাঈম, রাকিব, আনিস, সাইদুল, এএসআই সোহরাব, পুলিশ সদস্য ইনজামামুল, রাসেল, খলিলুর রহমান, মোহসিন, মোস্তাকিম, শাহাদাৎ, ফখরুল, আরিফ দেওয়ান, দীপক সাহা, শাহীন, ফরিদ উদ্দিন, মুরাদুজ্জামান, শাহীন, কবির হোসেন, মান্নান, রুবেল, সোহাগসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামী করে আদালতে মামলার আবেদন করেন।
প্রসঙ্গত, বিএনপির ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ ২ নং রেলগেইট এলাকায় বিএনপির একটি শোভাযাত্রা বের হয়। এসময় শোভাযাত্রাটিতে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় তিন ঘন্টার সংঘর্ষে নারায়ণগঞ্জে রণক্ষেত্র তৈরি হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে গুলি টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ অপরদিকে বিএনপির নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এসময় পুলিশের গুলিতে শাওন নামে এক যুবদল কর্মী নিহত হয়। এছাড়াও ২৫/৩০ জন বিএনপির নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। এঘটনায় আরও দুই শতাধিক লোক আহত হয়েছে।