দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বন্দরে কলাগাছিয়া ইউনিয়নস্থ বুরুন্দি এলাকাবাসীর উদ্যোগে আলোচিত অটোরিকশা চালক ফেরদৌসকে গলাকেটে হত্যার প্রতিবাদে খুনিদের ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। শুক্রবার বাদ জুম্মা বুরুন্দি দক্ষিনপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি তথা কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা হাজী আহমেদ তুষার মাইনউদ্দিনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি বুরুন্দি এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বুরুন্দি বাজারে এসে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়।
প্রতিবাদ সভায় দক্ষিণপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি হাজ¦ী মাঈনউদ্দিন বলেন, আমরা অত্যন্ত মর্মাহত এবং ব্যাথিত। আমাদেরই ইউনিয়নের শুভকরদী এলাকার সন্তান ফেরদৌস অত্যন্ত নিরহ প্রকৃতির ছেলে। তাকে যে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে আমারা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। আমরা বুরুন্দীবাসী অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়। দুঃখের বিষয় এইযে হত্যাকান্ডে জড়িত কুখ্যাত রকিব ও শিপলু বুরুন্দী এলাকার কলংক।
আমরা এই সভা থেকে বলতে চাই কোন অপরাধী আমাদের স্বজন হতে পারে না। কোন মাদকাসক্ত, খুনি আমাদের প্রতিবেশী হতে পারে না। তারা খুনি। এদের স্থান কারাগারে। তারা কখনো এই সমাজের হতে পারে না। আমরা এই কুখ্যাত, পিশাচদের অনতিবিলম্বে ফাঁসি চাই। প্রশাসনের নিকট দাবী এই যে তাদের যেন দ্রুত বিচারের আওতায় এনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করে দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করে।
এ সময় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বুরুন্দী দক্ষিনপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি হাজী আহমেদ তুষার মাঈনউদ্দিন, সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন, বুরুন্দী ৩তারা জামে মসজিদের সহ-সভাপতি হাজী জাকির হোসেন বিপ্লব, বুরুন্দী দক্ষিনপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী নাসির, দক্ষিনপাড়া জামে মসজিদের পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাজী সুমন প্রধান, হাজী কবির হোসেন, হাজী শাহজাহান, হাজী মোঃ শাহ-আলম, মফিজুল ইসলাম, শেখ সজিব ও দিপুসহ স্থানীয় এলাকাবাসী প্রমূখ।
প্রসঙ্গত, গত রোববার রাতে বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কান্দিপাড়া কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বালুর মাঠে অটোরিকশা চালক ফেরদৌসকে গলাকেটে হত্যা করে অটোরিকশাটি নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে এ মামলার সন্দেহজনক আসামী রকিবকে আটক করা হলে, রাকিব ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এবং তার বর্ননা অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অপর এক আসামী শিবলু এখনো পলাতক রয়েছে।