দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বন্দরে প্রেমের অভিনয় করে পোশাক শ্রমিক ডিফোর্সী এক নারীকে গনধর্ষণের ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
সোমবার রাতে গনধর্ষনের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে প্রেমিক জাহিদসহ ৯জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৩৩(১০)২০২২ইং।
এদিকে ধর্ষিতা ওই নারীর দায়ের করা মামলায় জাহিদুল ইসলাম জাহিদ(২১) নামে লম্পট প্রেমিককে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরন করেছে পুলিশ। গত ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তাকে নারায়ণগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। গ্রেফতারকৃত ধর্ষক জাহিদ মিয়া বন্দর কলাবাগ এলাকার দ্বীন ইসলামের ছেলে।
এছাড়াও পলাতক অন্যান্য অভিযুক্তরা হচ্ছে কলাবাগ ঝাউতলা এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে ইসমাঈল হোসেন ইমন(২২),বালুচড় এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে নাহিম(২১),একই এলাকার সাকিব(২১)সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫ জন।
এজাহারে ওই ধর্ষিতা ভিফোর্সী নারী উল্লেখ করেন,গত ১বছর পূর্বে বন্দর ইউনিয়ন কলাবাগ এলাকার শিউলী বেগমের বাড়িতে ভাড়া থাকিয়া নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি হোসিয়ারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করিয়া আসতেছিলাম। গত ৩মাস পূর্বে পারিবারিক কলহের কারনে আমার স্বামীর সাথে আমার ডিভোর্স হয়।
একই হোসিয়ারীতে চাকুরী করার সুবাদে একই এলাকার জাহিদুল ইসলামের সাথে আমার সখ্যতা তৈরী হয়। উভয়ে প্রায় সময়ই একসাথে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যেতাম। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টায় ডিউটি শেষ করিয়া বন্দর খেয়াঘাট পার হইলে জাহিদুল ইসলাম আমাকে প্রায় সময়ের ন্যায় ঘরতে যাওয়ার কথা বলে মোটল সাইকেল যোগে বন্দর ইউনিয়নস্থ বালুচড় এলাকাস্থ সৈয়দ রফিকুল মিয়ার বাড়িতে নিয়া যায়।
সেখানে গিয়া দেখি কলাবাগ ঝাউতলা এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে ইসমাঈল হোসেন ইমন,বালুচর এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে নাহিম,একই এলাকার সাকিবসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫ জন লোক আছে। জাহিদুলসহ সবাই মিলে আমাকে চড় থাপ্পর মারিয়া আমার কাছে থাকা ১৫’শ টাকা ও মোবাইল কেড়ে নেয়।
পরে সেখানে জাহিদ আমাকে জোর পূর্বক ইচ্ছার বিরোদ্ধে ধর্ষন করে এবং পালাক্রমে জাহিদের সহযোগী বাকি ৮ জন মিলে ভয় দেখিয়ে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এবং কাউকে কিছু বললে প্রানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।