বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে পরিবেশ দুষণ বিরোধী আলোচনা সভায় অতিথি হিসাবে উপস্থিত হয়ে চরম বিপাকে পরেন স্থানীয় ৮-১০ জন ইটভাটার মালিক।
রোববার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে বন্দর উপজেলার বাগদোবাড়িয়া নাগিনা জোহা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে পরিবেশ দুষণ বিরোধী আলোচনা সভায় উপস্থিত হয়ে বিপাকে পরেন ওই ইটভাটার মালিকগন। এলাকাবাসী জানিয়েছে,বন্দরের উত্তরাঞ্চলের মদনপুর, ধামগড় ও মুছাপুর ৩টি ইউনিয়নে ৭০ গ্রাম ঘিরে গড়ে উঠেছে অর্ধশত ইটভাটা।
এসব ইটভাটা সহ আরো শতাধিক শিল্পকল কারখানার শব্দ দূষন, বায়ূ দূষণ ও পরিবেশ দূষণ রক্ষার্থে পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির উদ্যোগে পরিবেশ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা দপ্তর সমন্বয়ে এক র্শীষক আলোচনা সভা আয়োজন করে।
পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির পরিচালক এইচএম পারভেজ মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার পরিবেশ অধিদপ্তর উপ পরিচালক মুহাম্মদ আব্দল্লাহ আল মামুন।
আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি গাজী এম,এ সালাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সজিব রায়হান, বাগদোবাড়িয়া নাগিনা জোহা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. গোলাপ হোসেন ভূঁইয়া, নাগিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বদিউল আলম,
নারায়ণগঞ্জ জেলা এনজিওর স্বমন্বয়ক ও মানব কল্যাণ পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ মান্নন ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবকে সদস্য গাজী আরিফুল ইসলাম আলীনুর, ইটভাটার মালিক আজিজুল ইসলাম আজিজ, আমান উল্লাহ আমান, মোক্তার হোসেন ভূঁইয়া, মো. আলমগীর হোসেন, মো. শফিউল্লাহ, মো. ইলিয়াছ মোল্লা ও স্থানীয় স্কুল, মাদরাসা শিক্ষক ও অভিভাবক বৃন্দ।
আলোচনা সভায় অথিতি হিসাবে উপস্থিত ইটভাটার মালিকদের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, যখন তখন অপরিকল্পিত ভাবে জনবহুল এলাকায় প্রথামিক, মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমনকি মাদরাসা সংলগ্নে গড়ে ওঠা ইটভাটার বায়ু দুষণে মারাত্বক ভাবে দুষীত হচ্ছে পরিবেশ। এই পরিবেশ দুষণের হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে ইটভাটা বন্ধের দাবি জানান। পরিবেশ রক্ষায় শুধু স্কুলের ছাত্র ছাত্রী নয়, সবাইকে সচেতন হওয়া উচিৎ।
পরিবেশ রক্ষা করতে না পারলে আমরা সবাই ঝুঁকির মুখে থাকবো। শব্দ দূষন, বায়ূ দূষণ পরিবেশ দূষণের হাত থেকে আমাদের বাঁচতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত, দোকান পাটের সামনে ডাস্টবিন রাখতে হবে। যাতে করে ময়লা আবর্জনা ক্লাসিফাই করে নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে রক্ষন করা যায়।
পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষ রোপনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সভা শেষে ভৌতিক পরিবেশ সুন্দর ও সুসজ্জিত রাখতে দোকানপাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়।