দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: অনুমোদিত কিংবা অনুনুমোদিত যে কোন ইটভাটা থেকে পরিবেশ অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে নিয়মিত মাসোয়ারা দিয়েই চলছে ইটভাটা। একই সাথে সকল ইটভাটা পরিচালনা করতে আইনশৃংখলা বাহিনীর অসাধু কর্মকর্তা ছাড়াও স্থানীয় রাজনীতিবিদদের প্রভাবে পরিবেশ ও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে চলছে ইটভাটা।
ইটভাটার কারণে দেশের পরিবেশ মারাত্মক আকার ধারণ করায় পরিবেশ রক্ষায় ২৫ কোটি ডলার ঋণ নিতে হয়েছে সরকার। বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সরকার যেখানে পরিবেশ রক্ষায় চেষ্টা চালাচ্ছে আর সেক্ষেত্রে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও অসাধু রাজনীতিবিদরা পরিবেশ ধ্বংস করে একেকজন যেন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছে
আড়াইহাজার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে চার চারটি ইটভাটা। ইটভাটা গুলোর কোনটিরই পরিবেশ ছাড়পত্র নাই, নাই কার্যত সরকারী অনুমতি সংক্রান্ত কোন প্রকার কাগজপত্র। কেউ কেউ সরকারী সব রকম কাগজপত্র আছে বলে দাবী করলেও তা দেখাতে পারেননি। পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র ছাড়া ইট ভাটা গুলো চলার কারণে পরিবেশ ছাড়পত্রে উল্লেখিত নিয়ম কানুন ও তারা জানেন না। তাই পরিবেশ দূষিত হয় এমন সব কার্যকলাপের মাধ্যমেই চলছে ইটভাটা গুলো।
ইটভাটা গুলোর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে নরসিংদী মদনগঞ্জ সড়কের মারুয়াদীতে অবস্থিত জি এন ব্রিক ফিল্ড নামে একটি ইট ভাটা। তার পাশাপাশি একই সড়কের শিলমান্দী এলাকায় রয়েছে এ এম ব্রিক ফিল্ড। মেঘনা বেষ্টিত কালাপাহাড়িয়ায় রয়েছে এএমবি এবং এসকেবি নামে দুটি ইট ভাটা। এর কোনটিরই সরকারী ভাবে কোন অনুমোদন পত্র এবং পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র নেই। তা ছাড়া ইটভাটা গুলোতে মাটি আনা নেয়ার কাজে ব্যবহৃত মাটি ভর্তি ট্রাক ও মাহেন্দ্র ট্রাক গুলো যাতায়াত করার ক্ষেত্রে ফসলী জমি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং ইট ভাটা গুলো বিভিন্ন সময়ে প্রভাবশালীদর ছত্র ছায়ায় নীরিহ কৃষকদের ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে বলে এলাকাবাসি অভিযোগ জানিয়েছে।
আড়াইহাজার উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দেখাতে ব্যার্থ হওয়ার কারণে ইটভাটা গুলোকে বেশ কয়েকবার জারিমানা করাসহ দু একটি ভাটা সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।
কিন্তু শাস্তি প্রদানের কয়েকদিন পরই আবার অদৃশ্য হাতের ইশারায় বার বার ওই ভাটা গুলো চালু করে নেন কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে মারুয়াদীতে অবস্থিত জি এন ব্রিক ফিল্ডের মালিক জহিরুল ইসলাম জানান, আমার ব্রিক ফিল্ডের পরিবেশ ছাড়পত্রসহ সকল প্রকার বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। তবে তিনি প্রকৃত পক্ষে কোন কাগজপত্রই প্রদর্শণ করতে পারেননি। এ এম ব্রিক ফিল্ড এর মালিক মাকসুদুর রহমান, এ এম বি ব্রিক ফিল্ড এবং এস কে বি ব্রিক ফিল্ডের মালিক মনির হোসেন তাদের কোনটিরই সরকার অনুমোদিত কোন কাগজপত্র নেই বলে জানান।
এ ব্যাপারে আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, কোন কোন ইটভাটার কাগজপত্র আমাদেরকে দিয়েছে। অমরা সেগুলো খতিয়ে দেখছি। আগামী সপ্তাহে নারায়ণগঞ্জ থেকে ম্যাজিষ্ট্রেট এসে সে গুলো দেখবেন। যদি কাগজপত্র সঠিক না থাকে তা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো জানান, কালাপাহাড়িয়ায় কোন ব্রিক ফিল্ডের সরকারী কোন অনুমতি বা তথ্য উপজেলা অফিসে নাই।