দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: আগামী দিনে সরকার পতন আন্দোলনকে সামনে রেখে অচিরেই নুতন ও পুরাতনের মিশ্রনে হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির পুর্নাঙ্গ কমিটি।
তবে নুতনদের হাতে নেতৃত্বর বিষয়টি এখন শুধু সময়ের ব্যাপার তবে যে কোন সময় কমিটি ঘোষনা আসবে বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের একটি বিশ্বস্ত সূত্র।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা করার পর থেকে আহবায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্ব বয়কট করে আলাদা ভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করছেন সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা।
এছাড়াও সংগঠনটির দায়িত্বরত নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক সমালোচনায় অনেকটাই বিরক্ত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
অপরদিকে শুরু থেকেই তরুন নেতৃত্বে অনেকটাই আশাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যার ফলশ্রুতিতে শুরু থেকেই তরুন নেতৃত্ব আনতে বেশ জোড়ে সোড়ে কাজ করছেন তিনি। তবে সেই ক্ষেত্রে সিনিয়রদের অবমূল্যায়ন নয় বরং তাদের সাথে নুতনদের রেখে দলকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করার জন্যই তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছেন। আর সেই সুবাদে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের একটি বিশ্বস্ত সূত্র আরো জানায়, বিএনপির একদফা দাবি সরকার পতন আর সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই সারা দেশের জেলা ও মহানগর কমিটিতে হাত দিয়েছেন তারা। অচিরেই এর সফলতা পাবে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
সূত্র আরও জানায়, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে হওয়ার কথা থাকলেও সেটা এখন আর হবে না। কারন ঢাকার পাশ্ববর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জ আন্দোলন সংগ্রামে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই সবদিক বিবেচনা করেই সম্মেলন ছাড়া কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি ভেঙ্গে পুর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
যেটা অচিরেই বাস্তবায়ন হবে। সেই সাথে আমরা আশাবাদী যে কমিটি ঘোষনা করা হবে সেটার একটা ভাল রেজাল্ট আমরা পাবো। পাশাপাশি স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা সেই কমিটিকে হাসি মোখে মেনে নিবেন এবং তাদের সাথে থেকে আন্দোলন সংগ্রামে বিশেষ ভূমিকা পালন করবেন। আমরা যাদেরকে দায়িত্ব প্রদান করবো তারা সকলের কাছেই গ্রহন যোগ্য ও বিশ^স্থ ব্যক্তি।
উল্লেখ্য, প্রায় এক বছর পুর্বে এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খানকে আহবায়ক ও এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
ঘোষনা করার পর পরই কমিটিতে থাকা ১৫ জন সিনিয়র নেতা আহবায়ক ও সদস্য সচিবের নেতৃত্ব বয়কট করে আলাদা ভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করতে শুরু করেন। এতে করে সিনিয়র নেতাদের নেতৃত্বে কর্মী সমর্থকদের উপচেয়ে পরা ভীর নজরে পরে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। যেখানে সিনিয়র নেতাদের পাশে থেকে জান অনেক তরুন ও উদীয়মান নেতারা।
এর পরই নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন হলেও অদৃশ্য কারনে মহানগর বিএনপির সম্মেলনকে স্থগিত করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এর পর থেকেই নানা আলোচনা ও সমালোচনার জন্মদেন সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃতাধীন মহানগর বিএনপি।