দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বাংলাদেশের প্রথম মহিলা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন রাজধানীর বনানী কবরস্থানে বাবা-মার কবরের পাশে ।
শনিবার (১১জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় বনানী কবরস্থান মসজিদে জানাজা শেষে দাফন কাজটি সম্পূর্ণ করা হয়।
এর আগে সকাল ১০টায় রাজধানীর তেজকুনিপাড়ায় নিজের বাস ভবনে আত্বীস্বজন ও রাজনীতি ব্যক্তিত্বরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাকে।
গত বৃহস্পতিবার (৯জুলাই) বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ২৫ মিনিটে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাহারা খাতুন।শুক্রবার (১০ জুলাই) রাত ২টার দিকে সাহারা খাতুনের মরদেহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।
ইউএস বাংলার একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার মরদেহ আনা হয়।তার মরদেহ গ্রহণ করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
সাহারা খাতুন জ্বর,সর্দি,অ্যালার্জিসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে অসুস্থ অবস্থায় গত ২ জুন ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে গত ১৯ জুন সকালে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।
এরপর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে গত ২২ জুন দুপুরে আইসিইউ থেকে এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হয়। ২৬ জুন সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে আবার তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। অসুস্থ সাহারা খাতুনকে ৬ জুলাই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে থাইল্যান্ডে নেয়া হয়।
সাহারা খাতুন ১৯৪৩ সালের ১ মার্চ ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুল আজিজ ও মাতার নাম টুরজান নেসা। শিক্ষাজীবনে তিনি বিএ এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং রাজনীতির পাশাপাশি আইন পেশায় নিযুক্ত ছিলেন।
তিনি ছাত্র জীবনেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।সাহারা খাতুন একাদশ জাতীয় সংসদেরও একজন সদস্য ছিলেন। ঢাকা-১৮ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে তিনি প্রথম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।