দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বন্দরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাসের চালক রুবেল ও বখাটে অপুর বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর কিশোরীর বড় বোন বাদী হয়ে বন্দর থানায় অপু ও রুবেলকে আসামি করে মামলা করেছেন।
ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে আসমি অপু ও রুবেল।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শনিবার রাতে বন্দর উপজেলার কেওঢালা বাগদোবাড়িয়া গ্রামের আবদুর রশিদ মিয়ার তিনতলা বাড়ির দ্বিতীয়তলায় ভাড়া থাকেন কিশোরীর বড় বোন।
গত ১৪ অক্টোবর বোনের বাসায় বেড়াতে আসে ওই কিশোরী। এরপর থেকে ওই বাড়ির নিচতলায় থাকা গাড়ি চালক রুবেল (২৫) ও বখাটে অপু (২২) তাকে উত্ত্যক্ত করা শুরু করেন।
শনিবার রাতে রুবেল ও অপু কিশোরীর মুখ চেপে ধরে ছাদে নিয়ে যান। ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় তাকে তিন তলার ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান রুবেল ও অপু।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, কিশোরীর এক পা ও হাত ভেঙে গেছে, মাথায় আঘাত লেগেছে। তাকে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফখরুদ্দীন ভূঁইয়া জানান, ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কিশোরীকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
অভিযুক্ত দুই জনসহ ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত অপু’র বাবা হাসান মিয়াকেও মামলার আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।