দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: সোনারগাঁয়ে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামে এক দল মাদকসেবী আখি নামে এক গৃহবধূকে শ্লীলতাহানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ওই নারীর চিৎকারে তার স্বামী উদ্ধার করতে আসলে তাকেও দেশি অস্ত্র দিয়ে হামলা করে আসামিরা।
এক মাস আগে আসামিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি হত্যাচেষ্টার মামলা তুলে না নেয়ায় জামিনে ছাড়া পেয়ে মামলার আসামিরা শুক্রবার বাদির পরিবারে ওই হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে শনিবার সোনারগাঁ থানায় বাদি হয়ে ওই নারী একটি মামলা করেছেন। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে আলাপদী গ্রামের পিয়ার আলীর ছেলে আলালকে।
এছাড়াও কাফরদী গ্রামের ইকবালের ছেলে সাইদুর, ভাগলপুর গ্রামের কিরণের ছেলে রাজনসহ মোট ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, উপরোক্ত ৪ বিবাদী তাদের আরো অজ্ঞাত নামা ৩ সন্ত্রাসীসহ শুক্রবার আড়াইটার দিকে আমার তার বাড়ি মামলা তুলে না নেয়ায় গালাগাল করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে।
এ সময় আত্মরক্ষার্থে ওই নারী চিৎকার শুরু করলে তার স্বামী মামুন খন্দকার এসে তাকে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে উদ্ধার করতে চেষ্টা করলে বিবাদী আলাল ও সাইদুর ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে। বাড়িঘর ভাঙচুর করে স্বর্ণালঙ্কারসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রসিীরা। সময় বিবাদী রাজন ও তকির গজারি কাঠ দিয়ে ওই দম্পতিকে বেধরক পিটাতে থাকে।
এ সময় তাদের আর্তচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসে। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে দ্রুত সোনারগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। ওই নারীর স্বামীর সঙ্গে প্রতিবেশী রাজনের সঙ্গে একটি মামলা চলছে।
ওই মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য বহুদিন ধরে প্রাণনাষের হুমকী দিয়ে আসছিল। মামলা না তোলায় বিবাদীরা তার শ্লীলতাহানী ও স্বামীসহ তাকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, শ্লীলতাহানী ও হামলার ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। এসআই মুজিবুর বিষটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।