দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের ভাটিবন্দর গ্রামের লাকী আক্তার। দীর্ঘদিন সৌদিতে পার্লার ব্যবসা করে আসছে। সেই সুবাদে পরিচয় হয় কুমিল্লার দেবীদ্বার থানার ছোট সালঘর গ্রামের রোসন আলীর ছেলে গাজী সুজনের সঙ্গে।গাজী সুজন সৌদীতে গাড়ী চালক। দুজনের বাংলাদেশী হওয়ার সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। স্ত্রী অসুস্থ্যতার অজুহাতে পরবর্তীতে তাদের বিয়ে হয়।
বিয়ের কিছুদিন যেতেই প্রবাসীদের সাথে দেহ ব্যবসা ও অসামাজিক কাজ করার প্রস্তাব দেয় স্বামী সুজন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে স্বামী সুজনকে রেখে দেশে চলে আসে লাকী। লাকী আক্তার জানান,সৌদি থেকে দেশে আসার পর গাজী সুজন কিছুদিন পর দেশে এসে তার কাছে কৃতকর্মের জন্য মাফ চেয়ে তার সংঙ্গে সংসার করার জন্য অনুরোধ করে। পরে সুজনকে ক্ষমা করে দিয়ে পুনরায় সংসার শুরু করেন। এক পর্যায়ে লাকী জানতে পারেন গাজী সুজন এর আগে আরো দুটি বিয়ে করেন।
বিয়ের বিষয়টি জানতে চাইলে শুরু হয় তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ। এক পর্যায়ে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য চেষ্টা করা হলেও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোশারফের জন্য ভেস্তে যায়। ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন লাকীর স্বামী সুজন গাজীর কাছ থেকে আপত্তিকর ছবিগুলো সংগ্রহ করে। আপত্তিকর ছবি সংগ্রহের ফোনালাপ এক পর্যায়ে লাকী আক্তারের কাছে আসে। এ ফোনালাপগুলো প্রতিবেদকের সংগ্রহে রয়েছে।
এদিকে সুজন গাজী তার স্ত্রীকে পুনরায় সৌদী আরব যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের অন্তরঙ্গ ছবি তার ব্যক্তিগত ইমো,ওয়াটসআপ ও ফেসবুকে প্রচার করতে থাকে। এ নিয়ে সোনারগাঁও থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেন লাকী আক্তার। বর্তমানে লাকী আক্তার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
লাকী আক্তার আরো জানান, তার স্বামী বিভিন্ন সময়ে তাকে হুমকি দিয়ে আসছে। পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওযার্ড সদস্য মোশারফ হোসেনের সঙ্গে আতাঁত করে আমাদের ক্ষতি করার জন্য উঠেপড়ে লাগছে। মোশারফ হোসেন লাকির চাচার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ হওয়ায় তাদের ঘায়েল করতে চাচ্ছে। সুজন গাজীর নামের মামলা দায়েরের পর তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে আবেদন করা হয়েছে।
অভিযুক্ত মোশারফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ঘটনার সঙ্গে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। তাদের বিষয়ে গ্রামের একটি বিচার শালিশ হওয়ার কথা ছিল। ওই সময়ে আমার সাথে লাকির স্বামীর কথা হয়েছিল।
সোনারগাঁও থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি মামলা রয়েছে। আসামী দেশের বাইরে থাকায় ব্যবস্থা গ্রহন সম্ভব হচ্ছে না।