দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ঐতিহ্যবাহী সোনাকান্দা কিল্লা জামে মসজিদের ইমামকে নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। তবে এঘটনায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আংশকা করছে এলাকাবাসী।
এদিকে, সোনাকান্দা কিল্লা জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি সাইফুল্লাহ বয়ানে মতপাথর্ক্যের সৃষ্টি হয়েছে মসজিদ কমিটির মধ্যে। দায়িত্বরত কমিটি বর্তমান ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি সাইফুল্লাহকে গত ২৯ জানুয়ারী মৌখিকভাবে সতর্ক করে। কিন্তু তার কর্মকান্ড থেকে সরে না আসায় গত ৭ ফেব্রুয়ারী লিখিতভাবে ইমামকে মসজিদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। কিন্তু স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে মসজিদে এখনও অবস্থা করছে। এই নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এর প্রেক্ষিতে বন্দরের সোনাকান্দা সরদারবাড়ী এলাকার মৃত আহামদ মিয়ার ছেলে মসজিদ উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মো. এবাদুল্লাহ এর পক্ষে এডভোকেট মো. ফরহাদ মিয়া গত ২৫ ফেব্রুয়ারী হাফেজ মাওলানা মুফতি সাইফুল্লাহকে ”উকিল নোটিশ” পাঠিয়েছেন।
তবে উকিল নোটিশের বিষয় সরাসরি অস্বিকার করেছেন সোনাকান্দা কিল্লা জামে মসজিদের উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মো. এবাদুল্লাহ। তিনি জানান, এ বিষয় আমি অবগত নই, কে বা কারা দিয়েছে আমার নাম করে তা আমি জানি না। তবে উকিল নোটিশ আমি পাঠাইনি।
উকিল নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, উপরোক্ত বিষয় সহ অত্র নোটিশ পাওয়ার ৭দিনের মধ্যে মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে মসজিদ থেকে চলে যাবেন। ইহাতে ব্যর্থ হলে আপনাকে নিয়ে পরিস্থিতি অবনতি হলে তার সমস্ত দায়িত্ব আপনাকেই বহন করিতে হবে। স্থানীয় ভাবে আইন শৃংখলা অবনতির কারণে আপনার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাসহ দেশে পরিচালিত আইনের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করিতে বাধ্য হবে।
অপর দিকে, সোনাকান্দা ঐতিহ্যবাহী কিল্লা জামে মসজিদের হাফেজ মাওলা মুফতি সাইফুল্লাহকে অব্যাহতি চেয়ে এবং এলাকার শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে স্মারক লিপি দিয়েছেন মসজিদের উন্নয়ন কমিটি ও ওলামা পরিষদ।
এবিষয় বন্দর থানার ইন্সপেক্টর(তদন্ত) তারিকুল ইসলাম জানান, সোনাকান্দা কিল্লা জামে মসজিদের বিষয়টি আমরা অবগত আছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।