সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের মেঘনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই)রাতে মেঘনা আনন্দবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্ষীরা জানান, সোনারাগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকার মেঘনা নদী থেকে এটই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান পানাম গাবতলী গ্রামের ইসমাইল মেম্বারের ছেলে রকি হোসেন ও মোবারকপুর গ্রামের হাসরুলের ছেলে মহসিন দীর্ঘদনি যাবৎ মেঘনা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের ড্রেজার ভেঙ্গে দেয়ার পরও তারা অবৈধ ভাবে ৬ মাস ধরে বালু উত্তোলন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে মেঘনা নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার জন্য ২ গ্রুপই ড্রেজার বসানোর চেষ্টা করে। এতে কে কোথায় বসাবে এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্ধ শুরু হয়।
এর জের ধরে ইসমাইলের ছেলে রকি ও হাসারুলের ছেলে মহসিনের নেতৃত্ব অর্ধ শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে রকি হোসেন ও তার সাথে থাকা অনিক মিয়া ও সজিব মিয়া আহত হয়। অপরদিকে মহসিন গ্রুপের মহসিন, তাজুল, মনির রিপন ও আরিফ আহত হয়। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত রকি হোসেন বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় অভিযোগ নেয়া হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।