ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ সড়কে ২দিন যাবত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো পরিবহন কিংবা ট্রাক বিকল হয়ে যাওয়ার পর যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে ফায়ার সার্ভিস ও রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্স বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। পথিমধ্যে অনেক ক্ষেত্রে অসুস্থরোগী গন্তব্যস্থলে পৌছানোর আগেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করছে।
সরজমিনে দেখা যায়- পঞ্চবটি মোড়ে, দাপা পোস্ট অফিস মোড়, পাগলা বাসস্ট্যান্ড, মুন্সিখোলা চাকদা, পোস্তগোলার মোড়। প্রতিনিয়ত এখানে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজটের কারণ অনুসন্ধানে দেখা যায়, ব্যস্ততম পঞ্চবটির চৌরাস্তার মোড়ে একদিকে রাস্তার পাশে বোরাক পরিবহন পার্কিং করে যাত্রী ওঠা নামা। তারপর ফিলিং স্টেশন, পঞ্চবটি টু পাগলা যাতায়াতকারী ইজিবাইক চালিত অটো রিকশা স্ট্যান্ড।
দক্ষিন পাশে পঞ্চবটি টু মুক্তারপুর অটোরিকশা স্ট্যান্ড সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যেখানে ২০/২৫টা ইজিবাইক চালিত অটোরিকশা সবসময় অবস্থান করে। পশ্চিম দিকে পঞ্চবটি টু ডালডা গেইট হয়ে বক্তাবলীর গুদারাঘাট পর্যন্ত ইজিবাইক চালিত অটোরিকশা গাড়ি পার্কিং করা হয় প্রতিনিয়ত।
এছাড়াও যমুনা তেল ডিপোর সামনে রাস্তার উপর তেলবাহী ট্যাংকলরীগুলো রাস্তার দুইপাশে পার্কিং করা এবং সড়কের পূর্ব পাশে এবি স্কেলে গাড়ি ওজন মাপার কারণে, প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। একারণেই যানজট পঞ্চবটি হতে মুক্তারপুর, পঞ্চবটি হতে পোস্তাগোলা ও পঞ্চবটি হতে চাষাড়া পর্যন্ত যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েন কর্মস্থল ও গন্তব্যস্থানে যাওয়া মানুষজন। যানজটের কারণে তারা পায়ে হেঁটে কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে বাধ্য হচ্ছেন। চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে বিভিন্ন পরিবহনের চালকদেরও। রাস্তায় আটকে থাকে শতশত যানবাহন।
দাপার ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বলেন, ১ দিন আগে তার মাকে অসুস্থতার কারণে এম্বুল্যান্সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথেই তার মা শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রায় ২/৩ ঘন্টা সময় যানজটের কবলে শিকার হন এই ভূক্তভোগী পরিবার।
ট্রাক চালক রুবেল বলেন, রাস্তা দিনদিন সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ না থাকায় আমাদের যানজটে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয়।
যানজটে আটকে থাকা বিভিন্ন চালকদের নানারকম অভিযোগ। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশকে কাজ করতেও দেখা যাচ্ছে না। কোনোদিন এ যানজট নিরসন শেষ হবে কিনা এর কোনো নিশ্চয়তা নেই এমনটাই বলছেন ভুক্তভোগী যাত্রী সাধারণ। এই সমস্যা নিমূর্লে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী যাত্রী সাধারণ।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, পুলিশলাইন লোহার মার্কেট থেকে পঞ্চবটি পর্যন্ত রাস্তা খুঁড়ে বিদ্যুতের কাজ চলছে। তাছাড়াও পূর্বের চেয়েও ট্যাংকলরী ও কভার্ডভ্যান গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বৃষ্টি হওয়াতে রাস্তার দুপাশের কানাখন্দে পানি জমে কর্দমাক্ত হয়ে গেছে। খুব শীঘ্রই আমরা ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার করছি।