পাঠ্যবই সংশোধনের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধের গৌরবের কথা, রাজাকারদের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজ্জাম্মেল হক এমপি। বিজয় ও স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের বোনাস প্রদান করা হয়েছে, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। ১৫হাজার অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আগামী ১৬ডিসেম্বরের মধ্যে ওয়েব সাইডে নতুন গেজেট প্রকাশ করা হবে। নিজেদের সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। যাতে করে তারা মুক্তিযোদ্ধের চেতনা থেকে বিচ্যুতি হয়ে অন্য কোন আদর্শে চলে না যায়।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জীবিত থাকা অবস্থায় গ্যাস, বিদ্যুৎ বিল ও চিকিৎসা ভাতা বাবদ তিন হাজার টাকা দেওয়ার জন্য সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে সোনারগাঁয়ের সাহাপুর এলাকায় সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বদ্ধভূমি, মুক্তিযোদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষণ করা হবে। এসব স্থান একই নকশায় সংরক্ষণ করা হবে।
স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে কেবল মুক্তিযোদ্ধারাই দুটি ভাতা পাবেন। অন্য কোনো সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী এই ভাতা পাবেন না। মুক্তিযোদ্ধারা গত বছর থেকে এ ভাতা পাচ্ছেন। দখল হয়ে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধের স্থান ও বধ্যভূমিগুলো উদ্ধার করা হবে। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে পরিচয় পত্র বিতরণ করা হবে।
মুক্তিযোদ্ধারা মারা গেলে দাফন খরচ ৫হাজার টাকা প্রদান করা হতো। এ টাকার পরিমাণ ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০হাজার টাকা করা হবে। প্রয়োজনে পরিবহন খরচ দেওয়া হবে। যাতে আগামী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে। সারা দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের দাফনের জন্য ১০হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে এবং কবরগুলো একই ডিজাইনের হবে যাতে ভবিষৎ প্রজন্ম দেখলেই বুঝতে পারে এটা একটা মুক্তিযুদ্ধার কবর। আগামী বছর মুজিব বর্ষ উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের একই ডিজাইনে বাড়ি করে দেওয়া হবে প্রতিটি বাড়ির ব্যয় হবে ১৫ লাখ টাকা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জসীমউদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদ বিপিএম(বার) পিপিএম বার, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল কায়সার, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক জেলা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী,
সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অঞ্জন কুমার সরকার, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুল হাকিম, নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী অধ্যক্ষ শিরিন বেগম, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইয়া,
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা সম্পাদক ড. সেলিনা আক্তার, সোনারগাঁ উপজেলা সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গণি প্রমুখ। পরে মন্ত্রী সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন পরিদর্শন করেন।