1. [email protected] : The Bangla Express : The Bangla Express
  2. [email protected] : christelgalarza :
  3. [email protected] : gabrielewyselask :
  4. [email protected] : Jahiduz zaman shahajada :
  5. [email protected] : lillieharpur533 :
  6. [email protected] : minniewalkley36 :
  7. [email protected] : sheliawaechter2 :
  8. [email protected] : Skriaz30 :
  9. [email protected] : Skriaz30 :
  10. [email protected] : The Bangla Express : The Bangla Express
  11. [email protected] : willierounds :
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০১:২০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
সিদ্ধিরগঞ্জে বস্তাবন্দি অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার সোনারগাঁয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে হামলা-ভাংচুর সোনারগাঁ, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার  উপজেলায় প্রার্থীদের মাঝে প্রতিক বরাদ্দ ইসলামপুরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন আ. লীগের সালাম ইসলামপুরে মহান মে দিবস পালিত ফতুল্লায় কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূঁকে যুবদল সভাপতি মাসুমের মারধর বন্দরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর বকশীগঞ্জে ট্রাক থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার, শ্রীঘরে ৩ ৮ম দিনে তাপদাহে বিপর্যস্ত পশুপাখির পাশে দাড়ালো টিম খোরশেদ নাঃগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এর উদ্যোগে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ

ডা.শাহনেওয়াজ চৌধুরীর বিরুদ্ধে স্বৈরশাসন, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও স্বৈরাচারিতার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন

দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৭৪ Time View
sahanaj

দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতির বর্তমান সভাপতি ডা.মো:শাহনেওয়াজ চৌধুরীর বিরুদ্ধে স্বৈরশাসন,দুর্নীতি, জালিয়াতি ও স্বৈরাচারিতার সহ নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে উক্ত সমিতির যুগ্ম সম্পাদক এ ওয়াই.এম হাশমত উল্লাহ।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের গলাচিপার সবুজ সার্থী সমাজ কল্যান সংস্থার কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ডা.শাহনেওয়ান চৌধুরীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে এ ওয়াই.এম হাশমত উল্লাহ একটি লিখিত অভিযোগে বলেন, নারায়ণগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতির বর্তমান সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ডা. মো. শাহনেওয়াজ চৌধুরী। ২০১৯-২০২১ মেয়াদের জন্য তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। বিধি মোতাবেক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে হলে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি কর্তৃক প্রস্তুতকৃত একটি ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করতে হবে।

উক্ত ডিক্লারেশন এবং নাডাসের গঠনতন্ত্র বিধিমালার পৃষ্টা ২৩ এবং ২৬ (খ) তে বলা আছে সমিতির কোন সদস্য যিনি নির্বাহী পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে ইচ্ছুক, তাকে সমিতির সহিত ব্যক্তিগত স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি হতে মুক্ত থাকতে হবে। অথচ তিনি নাডাসের বিভিন্ন প্রজেক্টের কো অর্ডিনেটর হিসেবে বেতন ও ভাতা নিচ্ছেন এবং এইচবিএওয়ানসি প্রজেক্ট হতে কয়েক বছর ২০ শতাংশ কমিশন নিয়েছেন যা ডিক্লারেশন ফরম ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি।

শুধু তাই নয় ডা. শাহনেওয়াজ চৌধুরী জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতির জীবন সদস্য হয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবত জীবন সদস্য না হয়েও সমিতির গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দায়িত্ব পালন করে অনেক সুবিধা ও অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। সমিতির মূল রেজিস্টারে কোথাও তার নাম নাই। ১৬৩ নং সদস্য মরহুম গোলাম মোস্তফা ভূইয়ার নামটি কেটে তার নাম লিপিবদ্ধ করেন এবং একটি ভুয়া জীবন সদস্য ফরম মরহুম গোলাম মোস্তফা ভূইয়ার ফরমের উপর রেখে দেন, যা সম্পূর্ণরুপে জাল ও অসংগতিপূর্ণ।

শাহনেওয়াজ চৌধুরী তার আত্বীয় স্বজনের সাথে নিয়ে হাসপাতাল কুক্ষিগত করে রেখেছেন সেই কথা উল্লেখ করে বলেন হাসমত উল্লাহ বলেন,গত প্রায় ১২ বছর যাবৎ ডা. মো. শাহনেওয়াজ চৌধুরী ক্ষমতা কুক্ষিগত করে আছেন। স্বজনপ্রীতি, অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে ডায়াবেটিক হাসপাতালকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন। তার মেয়ের জামাই ডা. মো. তাজুল ইসলাম মুন্নাকে ইতোপূর্বে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ দেন যা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির নিকট প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তিনি নিয়োগ পরীক্ষার নাটক মঞ্চস্থ করেন। পুনরায় তার মেয়ের জামাইকে অধিক বেতনে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেন এবং তদন্ত রিপোর্টের প্রশ্নবিদ্ধ নিয়োগকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগের ৮ মাস পূর্ব থেকে লক্ষাধিক টাকা বেতন দেন যা সম্পূর্ণ স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অবৈধ। তার বড় মেয়ে ডা. শায়লা শারমীনকে ১ দিন শুক্রবার ডিউটি করার শর্তে পে-স্কেলের পূর্ণ সুবিধা প্রদান করেন। অন্য স্টাফদের ক্ষেত্রে এ সুবিধা দেয়া হয় না। এসব কর্মকান্ড করে তিনি স্বৈরাচার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।

তিনি আরো বলেন,ডা. মো. শাহনেওয়াজ ল্যাব এর বিভিন্ন রি-এজেন্ট, মেডিকেল সামগ্রী, যন্ত্রপাতি, মেশিনারিজ, ইনসুলিন ইত্যাদি কোন কোটেশন, টেন্ডার ও ক্রয় কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই বায়োট্রেড ও অন্যান্য কোম্পানী হতে পরস্পর যোগসাজসে অধিক মূল্যে ক্রয় করে লাভবান হন যার কোন স্বচ্ছ হিসাব প্রদান করেন না। যে টিউব ও নিডেল ১০-১২ টাকায় পাওয়া যায় তিনি বায়োট্রেড হতে ২০ টাকায় ক্রয় করে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা কমিশন পাচ্ছেন। জেলা পরিষদ থেকে ডায়াবেটিক হাসপাতালের ফিজিওথেরাপী বিভাগের জন্য ১৫ লক্ষ টাকা অনুদান বরাদ্দ করা হয়।

কিন্তু এই অর্থ ডা. মো. শাহনেয়াজ চৌধুরী সমিতির একাউন্টে জমা না দিয়ে দীর্ঘ প্রায় ১ বছর ব্যক্তিগত তহবিলে জমা রাখেন। পরবর্তীতে বিনা কোটেশনে, বিনা টেন্ডারে ও ক্রয় কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই তিনি ব্যক্তিগত ভাবে ফিজিওথেরাপী বিভাগের যন্ত্রপাতি ক্রয় করেন যার কোন স্বচ্ছ হিসাব প্রদান করেন নাই। কোন টেন্ডার কোটেশন ছাড়াই প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা দিয়ে হাসপাতালের আউটডোরের জন্য শেড নির্মাণ করেন যা ২ বছরের মধ্যে ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় পুনরায় মেরামত করা হয় যা সরেজমিনে পরিদর্শন করলে জানা যাবে।

প্রায় পৌনে ৩ কোটি টাকা দিয়ে বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি টাকায় সিটি সেন্টারের জন্য ফ্লোর ক্রয় করেন কোন টেন্টডর কোটেশন ছাড়াই। ডা. শাহনেওয়াজ চৌধুরী জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতির জীবন সদস্য হওয়ায় অত্র সমিতির সভাপতির পদে থাকার নৈতিকতা হারিয়েও পাহাড় সমান দুর্নীতি করেও বহাল তবিয়তে এই প্রতিষ্ঠানের রাম রাজত্ব কায়েম করে চলেছেন।তাই সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী লিখনীর মাধ্যমে ডা.শাহনেওয়াজের স্বৈরশাসন,দুর্নীতি, জালিয়াতি ও স্বৈরাচারিতার সহ নানা অভিযোগ তুলে ধরে হাসপাতাল ও হাসপাতালে সেবাগ্রহীদের রক্ষ করুন।

আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2019 LatestNews
DESIGNED BY RIAZUL