শহর প্রতিনিধি
দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: এখনও খানপুর হাসপাতালে দেখা যায় তাকে রুগীদের সেবা করতে। বাংলাদেশে করোনা শুরু থেকে এখন পযন্ত সেচ্ছাসেবক হিসেবে নিরলস ভাবে অসুস্থ ও অসহায় মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। করোনাকালিন সময়ে প্রায় চারশত মৃতদেহের গোসল, দাফন, ও সতকারে অংশ গ্রহণ করেছেন টিম খোরশেদের হয়ে। দেশব্যাপী আলোচিত টিম খোরশেদ(১৩) দাফন সৎকার টিমের অন্যতম নির্ভরযোগ্য, সক্রিয় সদস্য আনোয়ার হোসেন।
আনোয়ার হোসেন একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। করোনার কারণে তার ব্যবসা লোকশানের মুখেপড়ে এখন বন্ধ। পূজি ভেঙে, ধার দেনা করে চলে তার সুখের সংসার। নিজের প্রিয় স্ত্রী আদরের পুত্র-কন্যাদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও জীবনের মায়া ত্যাগ করে করোনা রোগিদের পাশে দাড়াঁন তিনি।
২০২০ সালে মার্চ-এপ্রিল মাসে করণা মহামারীর শুরু হলে করোনা রোগীর নাম শুনলে মানুষ যখন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে আপন পিতা-মাতার সামনে যেতে ভয় পেত বা পিতা-মাতা ও স্বজনদের সৎকারের জন্য কবরস্থানে যেতে ভয় পেত সেই কালো দিন উপেক্ষা করে করোনা রোগীর পাশে ছুটে গিয়েছে করনাবীর আনোয়ার হোসেন আনু।এই অপ্রতিরোধ্য করোনা যোদ্ধার আনোয়ার হোসেন অনুর সাথে কথা হয় তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন এখন করোনার রোগী নেই তবে নানান ধরনের রুগ ব্যধি নিয়ে মানুষ হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাদের খোঁজ খবর নেই ও পরির্চচা করি।
অসুস্থ মানুষের পাশে গেলে আমি নিজে আত্মতৃপ্তি পাই, ও রুগীরাও খুশি হয় এবং মানষিক শক্তি পায়। আমি আল্লাহর খুশির জন্য আজীবন অসুস্থ ও অসহায় মানুষের সেবা করতে চাই। আল্লাহ যেন আমাকে কবুল করেন। সে টিম খোরশেদের, টিম লিডারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, ও সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন, খোরশেদ ভাই যেন সুস্থ থাকেন এবং সকল প্রকার বিপদ আপদ থেকে মুক্ত হন । পাশাপাশি করোনাকালিন সময়ের জন্য বাংলাদেশ সরকারের ও খানপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরও ভূয়সী প্রশংসা এবং কৃতজ্ঞতা জানান তিনি জানান আনোয়ার হোসেন অনু।
তিনি আরো বলেন, এখন হসপিটালের করোনা রোগী অনেক কম নাই বললেই চলে, কিন্তু আমি সব সময় হসপিটালের আসি অন্য যে সকল রোগী আছে তাতের সাথে কথা বলি তাদের সেবা দেওয়া চেষ্টা করি আমি যতদিন বেচে আমি এরকম করে রোগীদের পাশে থাকতে চাই আপনারা সকলে আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।