1. [email protected] : The Bangla Express : The Bangla Express
  2. [email protected] : christelgalarza :
  3. [email protected] : gabrielewyselask :
  4. [email protected] : Jahiduz zaman shahajada :
  5. [email protected] : lillieharpur533 :
  6. [email protected] : minniewalkley36 :
  7. [email protected] : sheliawaechter2 :
  8. [email protected] : Skriaz30 :
  9. [email protected] : Skriaz30 :
  10. [email protected] : The Bangla Express : The Bangla Express
  11. [email protected] : willierounds :
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট

তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর শুভ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস
  • Update Time : সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০২২
  • ৫১ Time View
pm

দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জ বাসীর উদ্দেশ্য বলেন কেন শীতলক্ষ্যা সেতু নাসিম ওসমানের নামে নামকরন করেছি । সে আমার ভাইয়ের বন্ধু ছিলেন। তাঁর বাবা সামসুজ্জোহা সাহেব আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন আর তাঁর দাদা ওসমান সাহেব তিনি বলতে গেলে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের একটা ঘাঁটি ছিলো।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সোমবার (১০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২ টায় তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

ওসমান পরিবারের স্মৃতি চারণ করে তিনি বলেন, ৭১ সালে যখন আমরা ধানমন্ডি বাসায় আমার মায়ের সাথে ছিলাম। ১৬ ডিসেম্বার তখন পাকিস্তান আর্মি আত্মসমার্পন করছেন। তখনও আমরা মুক্তি পাইনি। কিন্তু নাসিম ওসমানের বাবা সামসুজ্জোহা সাহেব ভেবে ছিল, আমরা মুক্তি পেয়েছি। তিনি রাজপথ দিয়ে ঢুকলে পাকিস্তান আর্মি গুলি ছুড়ে, গুলি লেগেছিল কিন্তু তিনি বেঁচে গিয়ে ছিলেন। কাজেই তার কথা আমি স্মরণ করি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তখন আমি রিফুজি হিসেবে দিল্লিতে। তখন তিনি গ্রেপ্তার হয়ে ছিলেন। মুক্তি পাওয়ার পর সাথে সাথে তিনি দিল্লি গিয়ে আমাদের সাথে দেখা করেছেন সামসুজ্জোহা সাহেব।

১৪ আগস্ট নাসিম ওসমানের বিয়ে হয়। নাসিম ওসমানের বিয়েতে শেখ কামালও গিয়েছিল। কামাল ফিরে আসি, যেহেতু পর দিন ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটেছে, তখন নববধুকে রেখেই সে ওই হত্যার প্রতিবাদ জানাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিল। সেই সব কথা সব সময়ই আমি স্মরণ করি। যদিও এক সময় সে আমাদের পার্টি করতো না। কিন্তু সব সময়ই আমাদের সাথে যোগাযোগ ছিল। তাঁর আকাঙ্খা ছিল সেতুটার জন্য। যখনই আমরা সেতুর কাজের উদ্যোগ নিয়েছি, তখনই তিনি ইহজগত ছেড়ে চলে গেলেন। কাজে তাঁর নামেই আমি সেতুটা উৎসর্গ করেছি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশা করে বলেন, সেতুটি ভ্রমণের সময় কমিয়ে সড়ক যোগাযোগকে আরও সহজ, দ্রুত ও সহজলভ্য করার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে চাঙা করতে সহায়তা করবে। ১ দশমিক ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলগামী যানবাহন এবং একইভাবে চট্টগ্রাম থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যানবাহন যানজট এড়াতে ও সময় বাঁচাতে নারায়ণগঞ্জ শহরকে বাইপাস করতে সক্ষম করবে। সেতুটির সঙ্গে নতুন সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে উঠলে পদ্মা সেতু থেকে জনগণ সর্বোচ্চ সুবিধা পাবেন।

একই সাথে বন্দরের মানুষ নারায়ণগঞ্জ শহরে গাড়ি দিয়ে সরাসরি প্রবেশ করতে পারবে। এ সেতু প্রকল্প ২০১০ সালে একনেকে অনুমোদন পেলেও ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি নির্মাণকাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ৬০৮ দশমিক ৫৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। এর মধ্যে ২৬৩ দশমিক ৩৬ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের তহবিল থেকে এবং ৩৪৫ দশমিক ২০ কোটি টাকা সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) থেকে এসেছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান ও জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী সেতু দুটির ওপর সংক্ষেপে বর্ণনা দেন। পরে সেতু প্রকল্পগুলোর ওপর ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এ সময় সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান, ৪- আসনের সাংসদ এ কে এম শামীম ওসমান, ৩- আসনের সাংসদ মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকা, ২ – আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ মঞ্জুরুল হাফিজ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল হাই, সাধারন সম্পাদক আবু হাসানাত মোঃ শহীদ বাদল, নব-নির্বাচিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল ,

সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড, খোকন সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশিদ, সাধারন সম্পাদক মোঃ কাজিম হউদ্দিন, জেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি মোঃ সানাউল্লাহ সানু, সাধারন সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন,

মহানগর জাতীয় পার্টি সভাপতি মোদাশ্বেরুল হক আহমেদ দুলাল,নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড, হাসান ফেরদৌস জুয়েল, এহেসানুল হক নিপু, শেখ সাফায়ত আলম সানী, শাহাদাত হোসেন সাজনু, হাজী মোক্তার হোসেন সহ প্রমুখ।

আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2019 LatestNews
DESIGNED BY RIAZUL