দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ বন্দরে শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ এখন চায়ের দোকান। নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২২নং ওয়ার্ডে রাস্তা বৃদ্ধির সময় শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ কার্যালয়টি ভাঙ্গা হয়। এর পর থেকে শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের কার্যালয় নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেয়নি।
১৮ অক্টোবর মঙ্গলবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ ভিত্তিপ্রস্তর ও সাইন বোড বিহীন খালি জায়গা পেয়ে বন্দর বাজারের ব্যবসায়ী চন্দন চায়ের দোকান ও বাজা পুরির দোকান করে রেখেছে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ বন্দর বাজার শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদটি এখন বিলুপ্তের পথে। বন্দর উপজেলার তথ্য অনুযায়ী ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে সরকারের পক্ষ থেকে চাল বরাদ্ধ দেন শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ মেরামতের জন্য।
শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের সভাপতি (৩৯৮) স্মারকে গত ১৮/৬/১৩ ও ২০/৬/১৩ তারিখে ২ দফায় ৫ টন মাল গ্রহণ করেন। বরাদ্ধ পাওয়ার ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও তা আজও মেরামত হয়নি।
এ ব্যপারে যুবলীগ নেতা হিমেল খান বলেন, স্থানীয় কিছু ভূমিদস্যুদের কবলে পরে শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদটি এখন বিলুপ্তের পথে। শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ মেরামতের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্ধ আসে কিন্তু তা ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও মেরামত হয়নি। এখন ভূমিদস্যুরা শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের নামে বরাদ্ধ সম্পত্তি নিজেদের সম্পত্তি বলে দাবি করছে।
এ ব্যপারে যুবলীগ নেতা ডালিম হায়দার বলেন, আজ ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল এর জন্মদিন বাসা থেকে বন্দর ঘাট যাচ্ছিলাম হটাৎ চোখ পরে শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের দিকে দেখি চায়ের দোকান অনেক কষ্ট লাগলো। আজ ভূমিদস্যুদের কবলে পরে শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদটি বিলুপ্ত। এক সময় আমরা এই শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদে শেখ রাসেল এর জন্মদিন পালন করতাম।
আজ নাম ধারী আওয়ামীলীগ নেতার কারনে শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ এখন চায়ের দোকান। এ ব্যপারে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম কুদরত-এ-খুদা বলেন, ২০১৩ সালে আমি দায়িত্বে ছিলাম না। তবু সরকারি মাল তছরুপ করা কারো অধিকার নেই। শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের নামে যদি সরকারি বরাদ্ধ নিয়ে কাজ না করে তবে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আমাদেরই দায়িত্ব বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।