দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত ও আহত ৩০।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর দুপুর আড়াইটার দিকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত একজন নিহত ও ৩০ জন আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
বিকেলে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মকবুল হোসেন রবিন নামে একজন নিহত হয়েছেন। রবিন ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক।
মুকবলকে উদ্বার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উদ্ধারকারী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান রুমি জানান, তিনি বিএনপি পার্টি অফিসের সামনে রাস্তায় শটগানের গুলিতে আহত হয়ে পড়েছিলেন। তাকে কয়েকজন মিলে ধরাধরি করে আমরা হাসপাতালে নিয়ে আসি। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকাল পৌনে ৪টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে তার নাম মকবুল বলে জানতে পেরেছি।’
তিনি আরও বলেন, নিহতের শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে।
এছাড়াও সংঘর্ষে আহতরা হলেন- মকবুল, রনি, মনির, আনোয়ার ইকবাল, খোকন, আসাদুজ্জামান, বিপ্লব হাওলাদার, আরেফিন আহামেদ, মেহেদী হাসান, জহির। তাদেরকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছে।
খবর পেয়ে বিকেলে নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসচিব মির্জা আলমগীর আসলে তাকে পুলিশ কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেননি। তাই কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা আলমগীরসহ নেতৃবৃন্দ। এসময় মির্জা আলমগীর বিএনপির নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার নির্দেশ দেন।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, আজ সকাল থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে আসতে থাকেন। দুপুর ৩টার দিকে হঠাৎ পুলিশ তাদের ওপর চড়াও হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি ছুড়েছে।
এদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রিজভী আহমেদ,প্রচার সম্পাদক ও বিএনপি মিডিয়া সেল-এর সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি,স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল সহ বিএনপি একাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।