দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের বিশেষ অভিযানে ‘ডেভিল ব্রেথ’ বা ‘শয়তানের নি:শ্বাস’ নামের চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার ।
শনিবার রাতে চাঁদপুর সদর থানা এলাকা থেকে শাকিলকে ও ঢাকার টিকাটুলি এলাকা থেকে রাকিবকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয় ১০ গ্রাম স্কোপোলামিন, ১ কেজি ও ২ লিটার পটাশিয়াম সায়ানাইড, ২.৫ লিটার ক্লোরফর্ম, ৬টি মোবাইল, ১ টি খাতা ও ১ টি ল্যাপটপ ।
গ্রেফতারকৃত সদস্যরা হলো,বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার ইদিলকাঠি এলাকার নূর মোহাম্মদ মোলøার ছেলে রাকিব (৩২) ও চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ থানার নারায়ণপুর এলাকার শাহ আলম প্রধানের ছেলে শাকিল আহম্মদ (৩০)।
রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মো¯Íফা রাসেল। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাই লাউ মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মো. তরিকুল ইসলাম, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি নজরুল ইসলামসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার গোলাম মো¯Íফা রাসেল জানান, চলতি বছরের ২৩ আগষ্ট নিখোঁজের একদিন পরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল উপ শহরের গোবিন্দপুর ২০নং সেক্টরের একটি ঝোপের পাশ থেকে আব্দুলøাহ আল মামুন (৩৬) নামে নর্দান ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আব্দুলøাহ আল মামুন রাজধানীর নর্দান ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করতেন।
তিনি ফেনী জেলার সদর উপজেলার গজারিকান্দি এলাকার আবুল কালামের ছেলে। স্ত্রী মোরশেদা বেগমকে নিয়ে তিনি ঢাকার দক্ষিণ খান এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষক মামুনের ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নামে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি টিম। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথমে চাঁদপুর থেকে শাকিলকে গ্রেফতার করার পরে বেরিয়ে আসে হত্যাকান্ডের রহস্য।
শাকিল ডেভিল ব্রেথ বা শয়তানের নি:শ্বাস নামের একটি ফেসবুকের পেইজ খুলে অনলাইনে স্কোপোলামিন নামের নতুন এক ধরনের মাদকসহ সায়ানাইডসহ নানা ধরনের পণ্য বিক্রি করে আসছিল। শাকিলের কাছ থেকে গ্রাহকদের একটি খাতাও উদ্ধার করা হয়। পরে টিকাটুলি থেকে রাকিবকে গ্রেফতার করা হয়।
রাকিব এসব মাদক ও বিষ সরবরাহ করতো। স্কোপোলামিন নতুন এক ধরনের মাদক যা সেবন করলে ওই ব্যক্তি সম্মোহিত হয়ে যে কোন অপরাধ ঘটিয়ে ফেলতে পারে।
গত এক বছর ধরে চক্রটি এই মাদক বিক্রি করে আসছিল। গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রের বাকী সদস্যদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।