দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ ডাকাতির প্রস্তুতিকালীন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেশীয় অস্ত্র সহ ৪ ডাকাতকে আটক ও ডাকাতির কাজে ব্যবহত একটি ট্রলার উদ্ধার করেছে বক্তাবলী নৌ ফাঁড়ি পুলিশ।
বক্তাবলী নৌ ফাঁড়ি পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শাহজালাল ও এসআই শহিদুল আলমের নেতৃত্বে নৌ পুলিশের একটি চৌকস দল অভিযান চালিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় কুখ্যাত ডাকাত রমজান সহ তার অপর ৩ সহযোগী কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও বাকি কয়েক জন ডাকাত পালিয়ে যায়।
ডাকাত রমজান সহ ৪ জনকে আটকের খবর শুনে অনেকে ডাকাত দেখার জন্য ভীড় করে। রমজান ডাকাতকে গ্রেফতার করায় বক্তাবলী নৌ ফাঁড়ি পুলিশকে সাধুবাদ জানান এলাকাবাসী।
ডাকাত রমজানের নেতৃত্বে বক্তাবলী, আলীরটেক, বালুরচর ইউনিয়ন সহ আশপাশের এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটতো।
গোপালনগর এলাকার মৃত আঃ রশিদ বেপারীর পুত্র মোঃ শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। যা তুলে ধরা হলোঃ সঙ্গীয় আমায় ভায়রার ছেলে মোঃ রাসেল প্রধান (৩৫) পিতা মৃত হাসেম প্রধান, সাং-গোপালনগর, থানাঃ ফতুল্লা, জেলাঃ নারায়ণগঞ্জ সহ থানায় হাজির হয়ে ধৃত আসামী ১। মোঃ রমজান মোল্লা (৫৫), পিতাঃ মৃত দ্বীন ইসলাম মোল্লা, মাতা মৃত সবুরুন নেছা, সাং- তালতলা বাড়ীপাড়া ০৪ নং ওয়ার্ড, খানা সিরাজদীখান, জেলা মুন্সিগঞ্জ, এ/পি সাং- পালের পাড়া, ১৬ নং ওয়ার্ড, থানা গাজীপুর সদর, জেলা গাজীপুর ২। মোঃ সাব্বির মোল্লা (৩১), পিতাঃ মৃত রহিম মোল্লা, মাতা মৃত সাজেদা বেগম, সাং-আড়পাড়া, ০৩ নং ওয়ার্ড, থানাঃ মধুখালী, জেলা, ফরিদপুর, ৩। মোঃ পান্নু সরদার (৩৩), পিতাঃ মৃত হাসিম সরদার, মাতা- মোছাঃ সুফিয়া বেগম, সাং- পশ্চিম শুভারামপুর, পৌরসভা ০১ নং ওয়ার্ড, থানা- কোতয়ালী, জেলা- ফরিদপুর
৪। মোঃ টিপু মুন্সি (৪৫), পিতা- মৃত টুকু মুন্সি, মাতা- মৃত সুফিয়া বেগম, সাং-আড়পাড়া, সদরআলী চেয়ারম্যান এর বাড়ির পাশে টুকু মুন্সি বাড়ি, খানা- মধুখালী, জেলা- ফরিদপুর, পলাতক আসামী ৫। মোঃ মিজান (৩০), পিতা মৃত জন্থর সিকদার, সাং আড়পাড়া ০৩ নং ওয়ার্ড, থানা কামারখালী, জেলা- ফরিদপুরসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন এর বিরুদ্ধে এই মর্মে এজাহার দায়ের করছি যে, গত ৩০/০৭/২০২৪খ্রিঃ বিকাল অনুমান ০৬.০০ ঘটিকার সময় আমার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ০১৯২৫৩৬৬৫৩৭ এ ১নং আসামী মোঃ রমজান তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে কল করে বলে আমরা এক জায়গায় যাবো আপনার ট্রলারটি নিয়া নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন ধলেশ্বরী নদীর পূর্বপাড়স্থ লতিফ হাজীর ইটের ভাটায় আসেন। আমি তার কথামত লতিফ হাজীর ইটভাটায় গেলে বলে বাশের আটি আছে এটি ধরা লাগবে উপরে আসেন। আমি আমার ট্রলার টি লতিফ হাজীর ইটের ভাটার সামনে বেধে উপরে উঠলে উল্লেখিত ডাকাত দলের সদস্যরা ইটের স্তুপের পেছনে থেকে বের হয়ে বলপূর্বক আমাকে গামছা দ্বারা মুখ বাধে।
অনুমান সন্ধা ০৭.৩০ ঘটিকার সময় আমার হাত পা ও মুখ বাধা অবস্থায় ট্রলারে উঠিয়ে গোগচর এলাকায় নিয়ে যায় যেখানে আমার হাত পা খুলে দিয়ে নদীর পাশে পানির মধ্যে ফেলে দিয়ে দক্ষিন দিকে ট্রলার চালিয়ে যায়। পরে আমি নদীর পাড়ে গিয়ে স্থানীয় এক অটো ড্রাইভারের মোবাইল নম্বর দিয়ে আমার বড়ছেলে মাসুদ মিয়াকে ঘটনা জানাই। মাসুদ তখন আমার ভায়ড়া ছেলে রাসেল প্রধানকে বিষয়টি জানায়।
তখন রাসেল তার কয়েক জন বন্ধু সহ টঙ্গীবাড়ী থানাধীন সুবচনি বাজারে যায়। যেখানে বাজারের পাশের খাল দিয়ে উল্লেখিত আসামীরা আমার ট্রলারটি নিয়ে যাওয়ার সময় ঘাটে বাধা অন্য একটি ট্রলার নিয়ে আমার ট্রলারটির পিছনে ধাওয়া দিলে ২ হতে ৫নং ডাকাতরা পানিতে লাফিয়ে পরে এবং ডাকাত রমজান আমার ট্রলারটি চালিয়ে যেতে থাকে রাসেল ও তার বন্ধুরা এক পর্যায় আমার ট্রলারের নিকটবর্তী হলে ডাকাত রমজান ট্রলার হতে লক্ষ করে তার হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সুমনের ডান হাতের কব্জির উপরে। গুরুতর রক্তাক্ত আঘাত করে। ট্রলারটি খালের পাশে চাপিয়ে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা কালে রাসেল ও তার বন্ধুদের ঢাক চিৎকারে স্থানীয় জনতার সহায়তায় ১নং ডাকাত রমজানকে ধৃত করে।
পরে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা ডাকাত রমজানকে মারপিট করে জখম করলে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। ইতিমধ্যে বক্তাবলী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সংবাদ পাইয়া ঘটনাস্থলে আসিয়া স্থানীয় লোকজনের সহয়তায় আসামী ১। মোঃ রমজান মোল্লা ২। সাব্বির ৩। পাপ্পু ৪। টিপু মুন্সিদের গ্রেফতার করে ও ৫ নং আসামী মোঃ মিজান সহ আরো অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন পালিয়ে যায়। পলাতক আসামীদের বয়স অনুমান ২৫ হতে ৩০ বছর এর হইবে তাদের পরনে গেঞ্জি এবং শটপ্যান্ট ছিল তারা ফরিদপুরের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। বক্তাবলী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশের সহয়তায় ট্রলারটি উদ্ধার করে নৌ পুলিশ আসামীদের হেফাজতে নেয় ও ট্রলারটি জব্দ তালিকা মূলে হেফাজতে নেয়।