দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: ফতুল্লা থানাধীন কাশিপুরে খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত হতদরিদ্রের জন্য ১০ টাকা দরে চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফুল্লাহ বাদলের উকিল মেয়ের জামাই ও কাশিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ এর সভাপতি আল আমিন এর স্ত্রী আইরিন ট্রেডার্সে নামে ১৩০০ পরিবারের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরন করার কথা থাকলেও তিনি করছেনা। সেই চাউলগুলো আল আমিন অন্যত্র বিক্রি করছে বলে জানান চাউল নিতে আসা হতদরিদ্র মানুষগুলো।
১০টাকা কেজি দরে সরকারি চাল বিক্রিতে অনিয়ম করে তাই বুধবার ( ২৮ এপ্রিল ) সকালে এলাকাবাসী পঞ্চবপি মুক্তারপুর সড়ক অবরোধ করে বিশাল যানজট সৃষ্টি হয়। পরে ফতুল্লা থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
পরে পুলিশ গিয়ে তাকে ফোন করে ডেকে আনলে তিনি সকলের সামনেই চাউল নিতে আসা মানুষগুলোকে গালমন্দ করেন এবং সকলের হাত থেকে কার্ড নিয়ে বলেন, যেদিন আবার চাল আসবে সেদিন দেওয়া হবে।
এদিকে বেশ কয়েকজন মহিলার কার্ড নিয়ে চাউল দেয়ার কথা বললে সাইফুল্লাহ বাদলের উকিল মেয়ের জামাই আল আমিন বলেন,তোরা না সাংবাদিক বাবাগো আনলি যা তোর সাংবাদিক বাবাগো গিয়ে ক আমি তগো কেউরে চাউল দিমুনা। পারলে তাদের কাছ থেকে নিয়ে যা। তাদেরকে আল আমিন আরো বলেন,আমি বাদল চেয়ারম্যানের উকিল জামাই পারলে কিছু করিস। রহিমুননেছা নামে এক মহিলা জানান,প্রায় ৩ মাস ধইরা আল আমিন আমাগরে ১০ টাকা কেজির চাউল দেয়না। অথচ হেই সরকারী চাউলগুলো আশপাশের মুদি দোকানে সব সময় পাওয়া যাইতাছে। আমরা গরীব বইলাতো কমদামের চাউল নেই বড়লোক অইলে তো আর এই চাউল নিতাম না।
এ বিষয়ে কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফুল্লাহ বাদলের উকিল মেয়ের জামাই ও কাশিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ এর সভাপতি আল আমিন এর ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম.সাইফুল্লাহ বাদলের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,গত দুই মাসের চাউলগুলো যাদের কার্ড ছিলো তাদেরকে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৮জন বাকি ছিলো। অনেকেই এসেছেন যাদের কার্ড ছিলোনা। বিষয়টি জানতে আমি খাদ্য অধিদপ্তর থেকে কর্মকর্তাদেরকেও এনেছিলাম।